কটক: বাংলার দরকার ছিল সারা দিনে আটটি ভাল বলে। যে বলে চণ্ডীগড়ের শেষ আট উইকেট তুলে ফেলা যাবে। আর টানা তিন ম্যাচ সরাসরি জেতা যাবে।
বাংলার বোলাররা রবিবার সেই লক্ষ্যপূরণ করলেন। যদিও ম্য়াচ বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ লড়াই করল চণ্ডীগড়। তাদের আটটি উইকেট ফেলতে বাংলার বোলারদের ৮৭.৩ ওভার লাগল। দিনের খেলা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে লক্ষ্যভেদ করলেন বঙ্গ বোলাররা। ৯৬.২ ওভারে ২৬০ রান তুলে অল আউট হল চণ্ডীগড়। ১৫২ রানে ম্যাচ জিতে রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) নক আউট পর্বে পৌঁছে গেল অভিমন্যু ঈশ্বরণের (Abhimanyu Easwaran) বাংলা।
শনিবার, তৃতীয় দিনের খেলার শেষে আত্মবিশ্বাসী সুরে বাংলার দ্বিতীয় ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোরার অনুষ্টুপ মজুমদার (Anustup Majumdar) বলেছিলেন, 'পিচ কিছুটা মন্থর হয়ে গিয়েছে। বোলারদের কঠিন পরিশ্রম করতে হবে। তবে বোলাররা আমাদের শেষ দুটি ম্যাচ জিতিয়েছে। ওদের ওপর আমাদের ভরসা রয়েছে। ওদের জন্যই মনে হচ্ছে, শেষ দিন ৮ উইকেট তুলে জেতা সম্ভব।'
শেষ দিন বাংলার বোলাররা লক্ষ্যপূরণ করেছেন। তবে লড়াই ছাড়েনি চণ্ডীগড়ও। ব্যাট হাতে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন অধিনায়ক মনন ভোরা (৪০ রান), অমৃত লুবানা (৫৭ রান), যশকরণ সিংহ (অপরাজিত ৬০ রান), শ্রেষ্ঠ নির্মোহীরা (২৯ রান)। তবে শেষ হাসি হাসেন বাংলার বোলাররাই।
বল হাতে সফল ঈশান পোড়েল। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৭ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন তিনি। দুটি করে উইকেট মুকেশ কুমার ও নীলকণ্ঠ দাসের। একটি করে উইকেট নিয়েছেন সায়নশেখর মণ্ডল, শাহবাজ আমেদ ও অনুষ্টুপ মজুমদার।
ম্যাচের শেষে বাংলার কোচ অরুণ লাল বলেছেন, 'আমাদের এই দল দুর্দান্ত। দারুণ চারিত্রিক দৃঢ়তা দেখিয়েছে। সেই সঙ্গে দক্ষতা ও ফিটনেসের মেলবন্ধনে দুর্দান্ত ক্রিকেট উপহার দিয়েছে। এই ম্যাচ আমাদের কাছে মরণ-বাঁচন ছিল না। কিন্তু তারপরেও ছেলেরা নিজেদের সেরাটা দিয়েছে। গ্রুপের শীর্ষে থেকে পরের রাউন্ডে যেতে পারলাম বলে খুশি।'
দলের বোলিং ও ব্যাটিং নিয়ে প্রশংসা শোনা গিয়েছে অরুণ লালের গলায়। বলেছেন, 'বোলাররা নিজেদের জন্য খুব উঁচু এক মাপকাঠি তৈরি করেছে। ওরা আমাদের ভরসা। ব্যাটিংও খুব ভাল হয়েছে এই ম্যাচে। তিনজন সেঞ্চুরি বা সেঞ্চুরির কাছাকাছি রান করেছে। আট নম্বরে নেমেও ৯৭ রানে অপরাজিত থেকেছে।'