কলকাতা: পাহাড়প্রমাণ রান লক্ষ্যমাত্রা। জয় আসবে কি না বলা অসম্ভব। সাম্প্রতিক সময়ের যা রেকর্ড বাংলা দলের, তাতে অতি বড় সমর্থকও আশা রাখবেন না হয়। কারণ লক্ষ্যটা ৪৪৯। আর তা তাড়া করতে নেমে কেরালার বিরুদ্ধে ম্য়াচে তৃতীয় দিনের শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ৭৭ রান বোর্ডে তুলতে পেরেছে বাংলা শিবির। দিনের শেষে অপরাজিত রয়েছেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ। তিনি ৩৩ রান করে ক্রিজে আছেন। শেষ দিনে ৩৭২ রান করতে হবে বাংলাকে এই ম্য়াচ জিততে হলে। 


উল্লেখ্য়, এই ম্য়াচে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে কেরালা বোর্ডে ৩৬৩ রান তুলে নিয়েছিল। জবাবে বাংলা ১৮০ রান প্রথম ইনিংসে বোর্ডে তুলতে পেরেছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে ফের ব্যাটিং করতে নেমে জলজ সাক্সেনার দল ৬ উইকেট হারিয়ে ২৬৫ রান বোর্ডে তুলে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয়। জলজ সাক্সেনা প্রথম ইনিংসে বাংলার ৯ উইকেট একাই তুলে নেন। ৬৮ রান খরচ করেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে কেরলের ব্যাটিং লাইন আপের মধ্য়ে কুন্নুম্মাল অর্ধশতরান হাঁকান। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকানো সচিন বেবি দ্বিতীয় ইনিংসে ৫১ রান করেন। শ্রেয়স গোপাল ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন। 


বাংলার বোলারদের মধ্যে শাহবাজ ৮০ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন করণ লাল, অঙ্কিত মিশ্রা ও রঞ্জোৎ সিংহ খাইরা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে সুদীপ ঘরামি ৩১ রান করে প্যাভিলিয়ন ফেরেন। রঞ্জোৎ ২ রান করে আউট হন।


উল্লেখ্য, ম্য়াচের মাঝেই শনিবার সন্ধ্যায় শোরগোল ফেলে দিল মনোজ তিওয়ারির একটি পোস্ট। ইনস্টাগ্রামে মনোজ লিখেছেন, ''পরের মরশুম থেকে রঞ্জি ট্রফি তুলে দেওয়া উচিত। এত কিছু ভুল হচ্ছে এই টুর্নামেন্টে। এই টুর্নামেন্টের এত সমৃদ্ধ পরম্পরা, একে বাঁচানোর জন্য এখনই কিছু করা উচিত। গুরুত্ব ও আনন্দ হারাচ্ছে এই টুর্নামেন্ট। প্রচণ্ড হতাশ।''


মনোজের সঙ্গে যোগাযোগ করলে জানা গেল চমকে ওঠার মতো তথ্য। কেরলের খেলোয়াড়সুলভ মানসিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন মনোজ। বঙ্গ অধিনায়ক বললেন, 'কেরলের জলজ সাক্সেনা প্রত্যেকটা বল করার আগে নিজেই নো বলে চিৎকার করছিল। আম্পায়াররা সব দেখেও কোনও ব্যবস্থা নিলেন না। সতর্কও করা হল না জলজকে। আমি সেই ফাঁদেই পা দিয়ে আউট হলাম। ভেবেছিলাম আম্পায়ার নো ডেকেছেন। পরে সতীর্থ অভিমন্যু ঈশ্বরণের কাছে শুনলাম ওটা ও নিজে মুখে বলছে। এটা অন্যায়।'