বেননি: ১৯৯৮, ২০০২, ২০১০ ও ২০২৪। এই নিয়ে চতুর্থবার। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ভারতকে হারিয়ে চতুর্থবারের জন্য যুব বিশ্বকাপ খেতাব জিতে নিল টিম অস্ট্রেলিয়া। গত বছর ওয়ান ডে বিশ্বকাপে রোহিতদের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল। সেবার প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া। এবার যুব বিশ্বকাপেও সেই অজিদের বিরুদ্ধেই হারতে হল ফাইনালে। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে এদিন নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫৩ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছিল। জবাবে ভারতীয় দল ১৭৪ রানের বেশি করতে পারেনি। 


অস্ট্রেলিয়ান দল নির্ধারিত ৫০ ওভারে সাত উইকেটের বিনিময়ে ২৫৩ রান বোর্ডে তুলল। অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে এটি সর্বকালের সর্বোচ্চ স্কোর। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে হর্যাস সিংহ সর্বাধিক ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন। ভারতের হয়ে ফাস্ট বোলার রাজ লিম্বানি সর্বাধিক তিন উইকেট নেন। ম্যাচের তৃতীয় ওভারেই লিম্বানি স্যাম কনস্টাসকে শূন্য রানে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং পার্টনারশিপ ভাঙেন। তবে দ্বিতীয় উইকেটে অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক ওয়েবজ়েন এবং হ্যারি ডিক্সন ৭৮ রানের পার্টনারশিপে অস্ট্রেলিয়াকে বেশ ভাল জায়গায় পৌঁছে দেন। নমন তিওয়ারি সেই পার্টনারশিপ ভাঙেন।


নিজের দুই ওভারে ওয়েবজ়েনকে ৪৮ ও ডিক্সনকে ৪২ রানে ফেরান তিনি। তবে পরপর দুই উইকেট হারিয়েও অস্ট্রেলিয়া চাপে পড়েনি। চতুর্থ উইকেটে রায়ান হিক্স ও হর্যাস সিংহ ৬৬ রান যোগ করেন। হর্যাসই একমাত্র অজ়ি ব্যাটার হিসাবে এদিন অর্ধশতরানের গণ্ডি পার করেন। রায়ানকে আউট করে এই পার্টনারশিপও ভাঙেন লিম্বানিই। তবে ৬৬ রানের এই পার্টনারশিপের পরেই ২২ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।


তবে টেল এন্ডারদের আউট করতে গিয়েই বিপাকে পরে ভারতীয় দল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন অলিভার পিক। তিনিই আগ্রাসী ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে দু'শো রানের গণ্ডি পার করান। তিনি শতাধিক স্ট্রাইক রেটে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন। তাঁকে চার্লি অ্যান্ডারসন সঙ্গ দেন। ১৩ রান করেন তিনি। শেষ দুই উইকেটে ৬৬ রান যোগ করে অস্ট্রেলিয়া। 


জবাবে ব্যাটি করতে নেমে প্রথম থেকেই ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে থাকে ভারত। অর্শিন কূলকর্নীর উইকেট প্রথম হারায় ভারত। ফর্মে থাকা মুশির খান ২২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। অধিনায়ক উদয় সহরণও রান পাননি। তিনি ফেরেন ৮ রান করে। কিছুটা লড়াই করছিলেন আদর্শ সিংহ। তিনি ৪৭ রান করলেও কারও সাহায্য পাননি। মুরুগান অভিষেক ৪২ রান করেন। ১৭৪ রানেই শেষ হয়ে যায় ভারতের ইনিংস। গোটা টুর্নামেন্টে অপরাজিত থাকার পর অবশেষে ফাইনালে এসেই হেরে গেল ভারতীয় দল।