কলকাতা: ইডেনে (Eden Gardens) প্রথম দুদিন যে ম্য়াচে হারের আতঙ্ক চেপে বসেছিল বাংলা শিবিরে, তৃতীয় দিনের শেষে সেই ম্যাচই পুরো পয়েন্টের স্বপ্ন দেখাচ্ছে মনোজ তিওয়ারিদের। উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন বাংলার। কাল, শুক্রবার, ম্যাচের শেষ দিন আর ১০১ রান করলেই পুরো ৬ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়বেন মনোজ-ঈশান পোড়েলরা।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের স্কোর ১২২/৪ থাকা অবস্থায়। ক্রিজে ছিলেন রিঙ্কু সিংহ। যিনি প্রথম ইনিংসে উত্তরপ্রদেশের সর্বোচ্চ স্কোরার। ৪৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসেও দুরন্ত ব্যাটিং করলেন। মাত্র ১১ রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয় কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে আইপিএল খেলা ক্রিকেটারের। ৮৯ রান করে আউট হন রিঙ্কু। অক্ষদীপ নাথ ৫৩ রান করেন। তবে বাংলার বোলিংয়ের সামনে উত্তরপ্রদেশের টেল এন্ডাররা সেভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। ২২৭ রানে গুটিয়ে যায় উত্তরপ্রদেশের দ্বিতীয় ইনিংস।
বাংলার সামনে সরাসরি জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৫৭ রানের। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ফের চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলা। শুরুতেই ফিরে যান ওপেনার অভিষেক দাস। ব্যক্তিগত ৯ রানের মাথায় ফেরেন তিনি। ২২ রান করে ফেরেন সুদীপ কুমার ঘরামি। দুজনই শিবম মাভির শিকার। সেই মাভি, যিনি প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন। ৬১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বাংলা শিবির তখন চাপে। সমর্থকেরা আশঙ্কা করছিলেন, প্রথম ইনিংসের মতোই ফের ব্যাটিং বিপর্যয় না তাড়া করে বেড়ায় বাংলা শিবিরকে। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৬৯ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল বাংলা।
আরও পড়ুন: ফাইনালে মেসির আর্জেন্তিনার মুখোমুখি ফ্রান্স, সতীর্থদের আগাম সতর্কবার্তা দিলেন গ্রিজম্যান
তবে দ্বিতীয় ইনিংসে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন কৌশিক ঘোষ ও অনুষ্টুপ মজুমদার। অবিচ্ছেদ্য তৃতীয় উইকেটে দুজনে ইতিমধ্যেই ১৬৯ বলে ৯৫ রান যোগ করেছেন। দিনের শেষে বাংলার স্কোর ৪২ ওভারে ১৫৬/২।
শুক্রবার ম্যাচের শেষ দিন। আর সেদিন ম্যাচ জিততে আর মাত্র ১০১ রান চাই বাংলার। ১২১ বলে ৬৯ রানে ক্রিজে রয়েছেন কৌশিক। অনুষ্টুপ ৮৮ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত। এখনও হাতে রয়েছে মনোজ তিওয়ারি, অভিষেক পোড়েল, শাহবাজ আমেদের মতো ব্যাটার। বাংলা শিবির আশাবাদী, শেষ দিন ১০১ রান তুলে ম্যাচ সরাসরি জিতে নেবে তারা।