কলকাতা: রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) দুই ম্যাচেই প্রতিপক্ষকে দুবার করে অল আউট করার সাফল্য। চাপের মুখে ধারাবাহিকভাবে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের পরীক্ষা নিয়ে যাওয়া। পেস হোক বা স্পিন, দুই বিভাগেই দাপট। সব মিলিয়ে বাংলার বোলিং আক্রমণকে দেশের সেরা হিসাবে বেছে নিচ্ছেন সহকারী কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী (Sourasish Lahiri)।


রবিবার কটকের বরাবাটি স্টেডিয়ামে হায়দরাবাদকে ১৬৬ রানে অল আউট করে দিয়ে ৭২ রানে জয় ছিনিয়ে আনার নেপথ্যেও বাংলার বোলারদের সাফল্য। রঞ্জি ট্রফির নক আউটে কার্যত পৌঁছে যাওয়ার পর কটক থেকে মোবাইল ফোনে এবিপি লাইভকে বাংলার প্রাক্তন অফস্পিনার সৌরাশিস বললেন, 'চলতি রঞ্জি ট্রফিতে আমি সব দলের বোলিং আক্রমণ দেখিনি ঠিক কথা। তবে বাংলার বোলিং সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। সবচেয়ে বেশি বৈচিত্র রয়েছে আমাদের। পেস বোলার হোক বা স্পিনার, সব বিভাগেই দুর্দান্ত মানের প্রতিভা রয়েছে আমাদের হাতে। পারফরম্যান্সেই যার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। তিন পেসার ঈশান পোড়েল, আকাশ দীপ, মুকেশ কুমার দারুণ ছন্দে। স্পিন বিভাগে শাহবাজ উইকেট নিচ্ছে।'


রঞ্জি ট্রফির দুই ম্যাচে সরাসরি জয়। কিন্তু বোলারদের কেউই পাঁচ উইকেট নেননি। ব্যাটাররাও কেউ সেঞ্চুরি করেননি। সৌরাশিস বলছেন, 'এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে আমরা দল হিসাবে খেলছি। এই সাফল্য় দলগত পারফরম্যান্সের জন্য। দুই ম্যাচে কোনও সেঞ্চুরি নেই, পাঁচ উইকেট নেই। ছেলেদের জেতার খিদেই তফাত গড়ে দিচ্ছে। সাদা বলে আমরা কয়েক মরসুম ধরেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে আসছি। হয়তো ট্রফি পাইনি। তবু...'


হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দুরন্ত পারফরম্যান্স শাহবাজের। বল হাতে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ব্যাটে করেছেন ৯১ রান। সৌরাশিস বলছেন, 'ও সবসময় চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত। দারুণ ক্রিকেটার। লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করতে নেমে চাপের মুখে পারফর্ম করছে।' পাশাপাশি তিলক বর্মার ক্যাচ অবিশ্বাস্য ক্ষিপ্রতায় নেওয়ার জন্য প্রদীপ্ত প্রামাণিকের প্রশংসা করছেন সৌরাশিস। 'প্রদীপ্ত পরিবর্ত ক্রিকেটার হিসাবে ফিল্ডিং করছিল। আকাশ দীপের বাউন্সারে পুল মেরেছিল তিলক। প্রদীপ্ত ছিল ডিপ মিড উইকেটে। প্রায় ৩০ গজ দৌড়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ ধরে ও। দুরন্ত ক্যাচ। মাঠে প্রত্যেকে অবদান রাখছে,' বলছিলেন তৃপ্ত কোচ।


রঞ্জিতে রুদ্ধশ্বাস জয়, কার্যত নক আউটে বাংলা