সন্দীপ সরকার, কলকাতা: ইডেনে (Eden Gardens) ব্যাটিং বিপর্যয়ের আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে বাংলা শিবিরকে। দ্বিতীয় ইনিংসেও শুরুতেই ধাক্কা খেল বাংলা। চা পানের বিরতিতেই তিন উইকেট হারিয়ে বসেছে বাংলা।


মাথার ওপর পাহাড়প্রমাণ ২৩০ রানের বোঝা। সেখান থেকে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে হলে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলার ব্যাটারদের সম্মিলিতভাবে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করতে হতো। বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ, সকলেই তখন বলাবলি করছেন যে, ম্যাচে প্রত্যাঘাতের সামান্যতম স্বপ্ন দেখতে হলেও অন্তত দেড়শো রানের লিড নিতে হবে বাংলাকে। যাতে বোলারদের হাতে লড়াই করার মতো পুঁজি থাকে (Ranji Trophy)। আর সেই সম্ভাবনা তৈরি করতে হলে বাংলাকে দ্বিতীয় ইনিংসে অন্তত চারশো রান তুলতে হবে। একাধিক বড় রানের পার্টনারশিপ গড়তে হবে।


যদিও শুরুতেই সেই সম্ভাবনায় জল ঢেলেছিলেন সুমন্ত গুপ্ত। বড়িশা স্পোর্টিংয়ের ক্রিকেটার রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে অভিষেক ঘটিয়েছেন। প্রথম ইনিংসে ফিরেছিলেন ১ রান করে। দ্বিতীয় ইনিংসেও স্কোরারদের তিনি বিব্রত করেননি। ১ রান করেই ফিরলেন তিনি। রান পাননি অন্য ওপেনার অভিমন্যু ঈশ্বরণও। যাঁর বিরুদ্ধে বরাবরের অভিযোগ, তিনি গ্রুপ পর্বে ব্যাট হাতে রাজা। বড় ম্যাচে ফকির। প্রথম ইনিংসে রান পাননি। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬ রান করে ফিরলেন অভিমন্যু।


গোটা মরসুমে ব্যাট হাতে ভরসা দিয়েছিলেন সুদীপ ঘরামি। সেমিফাইনালেও রান পেয়েছিলেন। ঘরের মাঠে ফাইনালে তিনিও দুই ইনিংসে ব্যর্থ। একটা সময় দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ব্যাট করতে পারবেন কি না, তা নিয়েই প্রশ্ন তৈরি হয়ে গিয়েছিল। শুক্রবার, ম্যাচের দ্বিতীয় দিন অর্পিত বাসবডার কভার ড্রাইভ বাঁচাতে ডাইভ মেরে বাঁ কাঁধে চোট পেয়েছিলেন। মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে হয়েছিল সুদীপকে। ইডেন থেকেই সরাসরি হাসপাতালে যান সুদীপ। তাঁর কাঁধে চোট পাওয়া জায়গায় স্ক্যান হয়। তৃতীয় দিন সকালে ফিল্ডিং করতেও নামেননি।



দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করেন সুদীপ। তবে রান পাননি। ১৪ রান করে ফেরেন। চা পানের বিরতিতে বাংলার স্কোর ২৬ ওভারে ৭৪/৩। দুটি উইকেট পেয়েছেন চেতন সাকারিয়া। একটি উইকেট জয়দেব উনাদকটের। সৌরাষ্ট্রের চেয়ে ১৫৬ রানে পিছিয়ে বাংলা। তবে ভরসা বলতে, ক্রিজে রয়েছেন মনোজ তিওয়ারি ও অনুষ্টুপ মজুমদার। বাংলার সবচেয়ে অভিজ্ঞ দুই ব্যাটার। বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীরা প্রার্থনা করছেন, একটা বড় রানের পার্টনারশিপ গড়ে তুলুন মনোজ-অনুষ্টুপ। আর সৌরাষ্ট্রকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিক বঙ্গ ব্রিগেড।


আরও পড়ুন: পিছিয়ে পড়েও দুরন্ত জয়ে নতুন ইতিহাস রচনা করল ভারতীয় ব্যাডমিন্টন দল