সন্দীপ সরকার, কলকাতা: প্রথম ম্যাচে অন্ধ্র প্রদেশের বিরুদ্ধে ৪০৯ রান করেও লিড হজম করা। দ্বিতীয় ম্যাচে উত্তর প্রদেশকে ৬০ রানে অল আউট করে দিয়েও তিন পয়েন্টে সন্তুষ্ট থাকা। রঞ্জি ট্রফিতে (Ranji Trophy) বাংলা শিবিরের মনোবল ধাক্কা দেওয়ার মতো ঘটনা প্রথম দুই ম্যাচেই ঘটেছে। তৃতীয় ম্যাচের আগেও কি পুরোপুরি চিন্তামুক্ত থাকতে পারছে বাংলা শিবির?


হয়তো না। থাকার কথাও নয়। ঘরের মাঠে চলতি রঞ্জি ট্রফিতে প্রথম বার নামছে বাংলা। শুক্রবার থেকে শুরু হতে চলা ম্যাচে বাংলার প্রতিপক্ষ খাতায় কলমে দুর্বল ছত্তীসগড়। তবু বাংলাকে ভাবাচ্ছে দুটি বিষয়। এক, ছত্তীসগড় প্রথম দুই ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপে দুই নম্বরে বসে রয়েছে। সে যতই প্রথম দুই ম্যাচ অসম ও বিহারের বিরুদ্ধে খেলতে হোক না কেন। বাংলার স্পিন বোলিং কোচ অরূপ ভট্টাচার্য তো বলেই দিচ্ছেন, 'ওরা যাদের বিরুদ্ধেই খেলে আসুক না কেন, মোদ্দা কথা ১০ পয়েন্ট পেয়েছে। আমরা ৬ পয়েন্টে পিছিয়ে।' যে তফাত মুছে দিতে পারে যদি, ইডেনে ছত্তীসগড়কে হারিয়ে অন্তত ৬ পয়েন্ট পায় বাংলা।


বাংলা শিবিরের কাছে দ্বিতীয় কাঁটা, কলকাতায় মেঘলা আকাশ ও ঝিরঝিরে বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার দিনভর আকাশের মুখ ভার ছিল। বিকেলের দিকে টিপটিপ করে বৃষ্টিও শুরু হল। শুক্রবারও আবহাওয়া এরকমই থাকার পূর্বাভাস। যার অর্থ, ম্যাচের ৯০ ওভার খেলা হওয়ার সম্ভাবনা কম। সকালের দিকে যেরকম আলো ছিল বৃহস্পতিবার, শুক্রবারও তা বজায় থাকলে ম্যাচ সময়ে শুরু করা নিয়েও সংশয় থাকছে। এমনিতেই কুয়াশার জন্য প্রত্যেক দিন একটা করে সেশনের খেলা নষ্ট হওয়ায় আগের ম্যাচে উত্তর প্রদেশকে বাগে পেয়েও ম্যাচ জিততে পারেনি বাংলা। যে ম্যাচ থেকে এক সময় বোনাস-সহ ৭ পয়েন্টের স্বপ্ন দেখেছিলেন মনোজ তিওয়ারিরা, সেই ম্যাচ থেকে মাত্র ৩ পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে হয়েছে। খারাপ আবহাওয়া যেন পিছু ছাড়ছে না বাংলার। কলকাতাতেও তাড়া করে বেড়াচ্ছে।


কেমন হবে ইডেনে বাংলা বনাম ছত্তীসগড় ম্যাচের পিচ? মনোজ বলছিলেন, 'ভাল উইকেট হবে। পিচে বাউন্স থাকবে। তবে শুকনো থাকবে। আমরা এমন পিচ চেয়েছিলাম, যেখানে দুই দলই সমান সাহায্য় পায়। এবং যে দলের ক্রিকেটারদের দক্ষতা বেশি, তারাই যেন জেতে। পিচ বা টস ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিক, এটা কখনওই কাম্য নয়।'


ঘরের মাঠে প্রথম রঞ্জি ম্যাচের আগে বৃহস্পতিবার বাংলা শিবিরকে উৎসাহ দিয়ে গেলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার অভীক চৌধুরী। দুর্ঘটনায় যাঁর কেরিয়ার সংক্ষিপ্ত হয়ে গিয়েছিল। ১৪ বছর পর হুইলচেয়ারে চেপে ইডেনে এলেন। ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বললেন। উদ্বুদ্ধ করলেন।


যদিও আকাশের গোমড়া মুখ বাংলা শিবিরের অস্বস্তি পুরোপুরি কাটতে দিল না। নক আউটের অঙ্ক যে কষতে শুরু করে দিয়েছে সব দলই।


আরও পড়ুন: বাংলা ক্রিকেট দলকে উদ্বুদ্ধ করতে ১৪ বছর পর ইডেনে অভীক


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে