মুম্বই: প্রথম তিন ম্যাচেই সরাসরি জয়। তার মধ্যে দুটিতে আবার বোনাস পয়েন্ট সহ। ৩ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে রঞ্জি ট্রফির (Ranji Trophy) এলিট গ্রুপ বি থেকে নক আউটে ওঠার দৌড়ে কার্যত ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছিল মুম্বই (Mumbai Cricket Team)।
৪১ বারের রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়নদের অশ্বমেধের ঘোড়া হ্যাঁচকা টানে থামিয়ে দিল উত্তর প্রদেশ। এমন একজনের ব্যাটে ঘায়েল হল মুম্বই, আইপিএলে যিনি খেলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সে। ইডেন গার্ডেন্স যাঁর আইপিএলের হোমগ্রাউন্ড। নীতীশ রানা। ঝকঝকে সেঞ্চুরি করেছিলেন। তাঁর দাপটেই মুম্বইকে ২ উইকেটে হারিয়ে দিল উত্তর প্রদেশ। সেই সঙ্গে সুবিধা করে দিল বাংলার। জমে গেল রঞ্জি ট্রফির নক আউটের লড়াই।
প্রথম তিন ম্যাচে মাত্র ৫ পয়েন্ট পেয়ে বেশ বেকায়দায় ছিল বাংলা। মনোজ তিওয়ারিদের সবচেয়ে বড় ধাক্কা ছিল কানপুরে উত্তর প্রদেশকে ৬০ রানে মুড়িয়ে দিয়েও আবহাওয়ার জন্য মাত্র ৩ পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে হয়েছিল। বাংলা শিবিরের কেউ হয়তো ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি যে, এই উত্তর প্রদেশই মুম্বইকে হারিয়ে গ্রুপের অঙ্ক আরও নাটকীয় করে তুলবে।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বইয়ের প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছিল ১৯৮ রানে। জবাবে উত্তর প্রদেশ তোলে ৩২৪। ১০৬ রান করেন নীতীশ। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য শুভম দুবের সেঞ্চুরির সুবাদে ৩২০ তোলে মুম্বই। ৮ উইকেটে ১৯৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় উত্তর প্রদেশ। ম্যাচের সেরা হয়েছেন নীতীশ। তিনি বলেছেন, 'করোনার সময় দুই পর্বে যখন আইপিএল হয়েছিল, আমার মনোযোগ লাল বলের ক্রিকেট থেকে কিছুটা সরে গিয়েছিল। তাতে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিলাম। তবে এ বছর লাল বলের ক্রিকেট নিয়ে খুব পরিশ্রম করেছি। আমি প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম, কারও কাছে নয়, নিজের কাছে যে, আমি লাল বলের ক্রিকেটেও ভাল খেলতে পারি।'
গ্রুপ বি-তে ৪ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে মুম্বই। ছত্তীসগড়কে ১২৬ রানে হারিয়ে ভাল জায়গায় পৌঁছে গেল অন্ধ্র প্রদেশ। ৪ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠে এল অন্ধ্র প্রদেশ। ৪ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তিনে রইল বাংলা। ৪ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে ছত্তীসগড় চারে। ৪ ম্যাচে সমান পয়েন্ট হলেও কোশেন্টে পিছিয়ে থাকায় পাঁচে উত্তর প্রদেশ। গ্রুপে ছয়, সাত ও আট নম্বরে আছে যথাক্রমে কেরল (৪ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট), বিহার (৪ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট) ও অসম (৪ ম্যাচে ১ পয়েন্ট)।
গ্রুপ থেকে প্রথম দুই দল কোয়ার্টার ফাইনালে যাবে। বাংলার ম্যাচ বাকি মুম্বই, কেরল ও বিহারের বিরুদ্ধে। দুটি ম্য়াচ জিতলেই শেষ আটের দরজা খুলে যেতে পারে মনোজদের সামনে।
আরও পড়ুন: এক বছর আগেও ছিলেন নিরাপত্তারক্ষী, বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার দর্পচূর্ণ করে রাতারাতি নায়ক শামার
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে