বেঙ্গালুরু: রঞ্জি ট্রফির নক আউটের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্য়াচ। সামনে শক্তিশালী ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) মত দল। আর সেই মঞ্চেই কেরিয়ারের প্রথম রঞ্জি শতরান হাঁকালেন তরুণ ব্যাটার সুদীপ ঘরামি। লিগ পর্যায়ে খুব একটা ভাল পারফরম্য়ান্স ছিল না সুদীপের। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাংলার জার্সিতে ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন সুদীপ। দুরন্ত সেঞ্চুরি করলেন সুদীপ। প্রথম দিনের শেষে অপরাজিতও থাকলেন। ১৩টি বাউন্ডার ও ১টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন সুদীপ।
প্রথমবার রঞ্জি ট্রফির মঞ্চে সেঞ্চুরির পর সুদীপ বলছেন, ''খুব ভাল লাগছে বাংলার জার্সিতে প্রথম সেঞ্চুরি করতে পেরে। নিজের স্বাভাবিক খেলাটাই খেলতে চেয়েছিলাম। নিজেকে ব্যাক করতে চেয়েছিলাম। প্রথম দিকে কিছুটা সময় নিয়ে খেলেছি। ধীরে ধীরে ছন্দ ফিরে পেতেই চালিয়ে খেলা শুরু করি।''
কেমন উইকেট দেখলেন? সুদীপ বলছেন, ''উইকেট ভালই ছিল। পেসারদের জন্য সুবিধেও রয়েছে। তবে আমি খারাপ বলগুলোয় আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। নিজের পুরো ১০০ শতাংশ দিয়ে বাংলাকে রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য।''
এদিন টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ঝাড়খণ্ড অধিনায়ক সৌরভ তিওয়ারি। বাংলা এদিন তিন পেসার মুকেশ কুমার, ঈশান পোড়েল ও আকাশ দীপকে একাদশে রেখেছিল। স্পিন আক্রণে শাহবাজ আহমেদ ও ঋত্বিক চট্টোপাধ্য়ায়। রঞ্জির লিগ পর্যায়ে ভাল পারফর্ম করা অভিষেক পোড়েলও জায়গা পেয়েছেন একাদশে। এদিন ব্যাট হাতে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন সুদীপ ঘরামি ও অভিষেক রমন। ২ জনেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং শুরু করেন। তবে ভাল শুরু করেও ৪১ রানের মাথায় চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
এরপর সুদীপ ঘরামি ক্রিজে আসেন। জুটি বাঁধেন অধিনায়কের সঙ্গে। দু জনে মিলে বড় পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। অভিমন্যু ১২৪ বলে ৬৫ রানের ইনিংস খেলেন। নিজের ইনিংসে ৯টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান বাংলা অধিনায়ক। তিনি ফিরে গেলে দিনের বাকি সময়টা সুদীপকে যোগ্য সঙ্গ দেন দলের অভিজ্ঞ ব্যাটার অনুষ্টুপ মজুমদার। শাহবাজ নাদিম, অনুকূল রায়রা কোনওভাবেই প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারছিলেন না। দিনের শেষে সুদীপ ১৩টি বাউন্ডার ও ১টি ছক্কা হাঁকিয়ে ১০৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন। অন্য়দিকে অনুষ্টুপও তাঁর আরও একটি রঞ্জি শতরানের সামনে দাঁড়িয়ে। ১১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১৩৯ বলে ৮৫ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ময়দানের রুকু।
আরও পড়ুন: নজির গড়ে টেক্কা পেলেকে, আর্জেন্টিনার জার্সিতে প্রথমবার এক ম্যাচে ৫ গোল মেসির