প্যারিস: আরও একবার। এই নিয়ে ১৪ বার। উয়েফা চ্য়াম্পিয়ন্স লিগ জয় রিয়াল মাদ্রিদের (Real Madrid)। লিভারপুলকে(Liverpool) ফাইনালে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে ট্রফি জিতল কার্লো আনসেলোত্তির দল। এর আগে শেষবার ২০১৮ সালে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লস ব্ল্যাঙ্কোসরা। এরপর চার বছর পর আবার খেতাব জয়। ম্যাচে রিয়ালের হয়ে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। 


খেলার শুরুতেই বিপত্তি


চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। নিরাপত্তা যে জোরদার হবে তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু সেখানেই বিপত্তি। প্যারিসের স্তাদ দে ফ্রান্স স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল শুরুর সময় আধঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হয়। জায়ান্ট স্ক্রিনে ভেসে আসে যে, ''নিরাপত্তাজনিত কারণে ম্যাচ শুরু হওয়ার সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।'' প্রচুর দর্শক না কি টিকিট না কেটেই মাঠে ঢুকে গিয়েছিলেন। আবার অনেকের টিকিট থাকার পরও ঢুকতে পারছিলেন না। তার জন্যই সময় চেয়ে নেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত প্রায় ৩২ মিনিট পর খেলা শুরু হয়। 


প্রথমার্ধে বেঞ্জেমার গোল বাতিল


খেলার শুরু থেকেই ২ দল আক্রমণে এগিয়ে আসছিল বারবার। তবে রিয়ালের তিকিতাকা ফুটবল যেন কিছুটা বিব্রত করছিল বারবার ইংল্যান্ডের ক্লাবটিকে। রিয়ালের নিঁখুত পাসিং ফুটবলের সামনে অনেকটাই নিষ্প্রভ লাগছিল মো সালাহ, সাদিও মানেদের। উল্টে প্রথমার্ধের শেষের দিকে, গোলরক্ষক এবং ডিফেন্ডারদের ভুল বোঝাবুঝিতে সুযোগ সন্ধানী করিম বেঞ্জেমা লিভারপুলের জালে বল জড়িয়ে দেয়। তবে, সহকারী রেফারির নির্ভুল অফ সাউড কল এবং ভিএআর-এ চেকের পর কোনও ক্রমে রক্ষা পায় লিভারপুল। প্রথমার্ধে আর কোনও দলই গোল পায়নি। 


দ্বিতীয়ার্ধে রিয়ালের জয়সূচক গোল ভিনিসিয়াসের 


হাফটাইমের পরে ম্য়াচে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি রিয়ালকে। খেলার ৫৯ মিনিটের মাথায় ডানদিক থেকে ওঠা রিয়ালের উইংয়ের চেরা পাস থেকে গোলমুখে পা বাড়িয়ে দেন ব্রাজিলীয় তরুণ। গোলের স্বাদ পেয়ে যায় স্প্যানিশ ক্লাবটি। এরপর লিভারপুল হাজার চেষ্টা করেও আর গোলশোধ করতে পারেনি। এদিন রিয়ালের গোলপোস্টের নিচে দুর্ভেদ্য প্রাচীর হয়ে ছিলেন গোলরক্ষক থিবো কুর্তোয়া।