কলকাতা: ভারতীয় ক্রিকেটে এখন সবচেয়ে আলোচিত ব্যক্তির নাম ঋদ্ধিমান সাহা। শ্রীলঙ্কা (srilanka) সফরে টেস্ট সিরিজের জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পরই মুখ খুলেছেন বাংলার তারকা উইকেট কিপার ব্যাটার। তাঁর পাশে দাঁড়াননি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, এমনও যেমন বলেছেন। তেমনই কোচ রাহুল দ্রাবিড় (rahul dravid) ঋদ্ধিমানকে (wriddhiman saha) অবসর নিতে বলেছিলেন বলেও জানিয়েছেন পাপালি। সেই ইস্যুতে এবার মুখ খুললেন প্রাক্তন জাতীয় নির্বাচক শরনদীপ সিংহ। তিনিও বলছেন যে টিম ম্যানেজমেন্ট পন্থকেই প্রথম পছন্দ হিসেবে দেখছে। ফলে দ্রাবিড়ের বক্তব্যে কোনও ভুল দেখছেন না তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে শরনদীপ বলেন, ''আমার মনে হয় না দ্রাবিড় কোনও কিছু ভুল বলেছেন সাহাকে। ঋদ্ধিমানকে ওঁর বয়সের দিকটাও ভাবতে হবে। ওঁর এখন ৩৭ বছর বয়স। ওঁ প্রথম একাদশেও সুযোগ পায় না। তাহলে কীভাবে ওঁকে দলে নেওয়া হবে শুধুমাত্র রিজার্ভ বেঞ্চে বসিয়ে রাখার জন্য। ওঁর থেকেও তরুণ উইকেট কিপাররা যেখানে রয়েছে।'' এরপরই শরনদীপ আরও বলেন, ''ভবিষ্যতের দিকে তাকাতেই হবে। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে পন্থই টিম ম্যানেজমেন্টের প্রথম পছন্দ। কারণ এখনও অনেক বছর খেলতে পারবে ওঁ।''
এর আগে ঋদ্ধিমান ইস্যুতে কোচ রাহুল দ্রাবিড় বলেছিলেন, 'ওর কথায় আমি আহত হইনি। ঋদ্ধিমান সাহার প্রতি, ওর কৃতিত্ব এবং ভারতীয় ক্রিকেটে ওর অবদানের প্রতি আমি ভীষণ শ্রদ্ধাশীল। সেই জন্যই ওর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। আমার মনে হয়েছিল সততা ও স্বচ্ছতা ওর প্রাপ্য। আমি ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলায় বিশ্বাসী। আমি যা বলব তার সঙ্গে ক্রিকেটারেরা সকলে একমত হবে তা আশা করি না। তাতে লাভ হয় না। প্লেয়ারদের সঙ্গে কঠিন কথোপকথন হতে পারে, কিন্তু তাই বলে সব কিছু ধামাচাপা দিয়ে দিলাম আর কথাই বললাম না, তা ঠিক নয়।'
প্রথম একাদশ নির্বাচনের সময় স্বচ্ছতা বজায় রাখার পক্ষপাতী দ্রাবিড়। বলেছেন, 'প্রত্যেক বার প্রথম একাদশ নির্বাচনের আগে কথা বলা জরুরি। কোনও ক্রিকেটার কেন বাদ পড়ছে সেই প্রশ্নের উত্তর খোলাখুলি দেওয়া উচিত। প্লেয়ারদের খারাপ লাগা ও হতাশ হয়ে পড়া স্বাভাবিক। আমি শুধু বোঝাতে চেয়েছিলাম যে, ঋষভ পন্থ এক নম্বর উইকেটকিপার-ব্যাটার হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছে। আমি বলতে চেয়েছিলাম আমরা তরুণ একজন উইকেটকিপারকে তৈরি করতে চাই। তাতে ঋদ্ধিকে নিয়ে আমার শ্রদ্ধা পাল্টে যাচ্ছে না। আমার কাছে তো সবচেয়ে সহজ হল ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা না বলা বা আলোচনা না করা। কিন্তু আমি তা করব না। তবে একটা সময় আমি আশা করব আমি যে এই সামনাসামনি কথা বলতে পেরেছি সেই ব্যাপারটাকে সবাই শ্রদ্ধা করবে।'