নয়াদিল্লি: মহেন্দ্র সিংহ ধোনির ওপর চাপ বাড়তে চলেছে। কারণ, একদিনের দলে জায়গা করে নিতে চলেছেন ঋষভ পন্ত। ব্যাট হাতে বিগত কিছু ম্যাচে একেবারেই একেবারেই সফল নন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। এজন্য নির্বাচকরা ধোনির ব্যাক আপ হিসেবে ঋষভকে একদিনের দলে নেওয়ার ব্যাপারে নির্বাচকরা মনস্থির করে ফেলেছেন বলে সূত্রের খবর। আগামীকাল নির্বাচকরা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্যাচের একদিনের সিরিজের জন্য ১৫ সদস্যের দল বেছে নেবেন। আগামী ২১ অক্টোবর ওই সিরিজ শুরু হচ্ছে।
আগামী বছরের বিশ্বকাপে ধোনিই প্রথম পছন্দের উইকেটরক্ষক। তবে টুর্নামেন্টে ধোনির ব্যাক হিসেবে কে দলে থাকবেন, তা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজ থেকেই শুরু হচ্ছে। টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচক কমিটি এই সিরিজে ঋষভকে পরখ করে দেখতে চায়।
তবে পাঁচ ম্যাচের একদিনের ও তিন ম্যাচের টি ২০ সিরিজের জন্যই একেবারে দল ঘোষণা করা হবে, না প্রথম তিনটি ম্যাচের জন্য করা হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
ওভাল টেস্টে সেঞ্চুরি ও রাজকোটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট ম্যাচে সাবলীল ৯২ রানের ইনিংস খেলেছেন ঋষভ। এভাবে একদিনের দলে নিজের অন্তর্ভূক্তির দাবি জোরাল করেছেন তিনি। ভারতের হয়ে চারটি টেস্ট ও ৪ টি ২০ ম্যাচ খেললেও দিল্লির এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান এখনও একদিনের ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। ২০১৭-তে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের দলে থাকলেও একটি ম্যাচেও খেলার সুযোগ হয়নি তাঁর।
পন্ত একদিনের দলে ঢোকা মানে কোপ পড়বে দীনেশ কার্তিকের ওপর। গত কয়েকটি সিরিজে কার্তিককে ধোনির ব্যাক আপ ও মিডস অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে রাখা হয়েছিল। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন তামিলনাড়ুর এই ক্রিকেটার। এশিয়া কাপের প্রতি ম্যাচেই শুরুটা ভালো করেও বড় স্কোর করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
এর ওপর দলে রয়েছেন কে এল রাহুল। তিনিও ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি উইকেটরক্ষার কাজটাও করে দিতে পারেন। তাই দলে তিন-তিন উইকেটরক্ষক রাখা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে বিশ্রাম দেওয়ার কথাও ঘোরাফেরা করছে। তবে এশিয়া কাপে বিশ্রাম নেওয়ার পর কোহলি ফের দলের বাইরে থাকার কথা ভাবছেন না বলেই মনে করা হচ্ছে।
বোলিং বিভাগে ভূবনেশ্বর কুমার ও জসপ্রিত বুমরাহ দলে ফিরছেন।

অন্যদিকে, কোচ, অধিনায়ক ও কয়েকজন সিনিয়র প্লেয়ারের সঙ্গে বোর্ডের কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরস-এর বৈঠকে কয়েকটি বিষয় নিয়ে বিতর্ক ও উত্তাপ দেখা দিতে পারে।
এশিয়া কাপের পর দুবাইতে সাংবাদিক বৈঠকে রোহিত শর্মা বলেছিলেন, তিনি ক্রিকেটারদের মনে কোনওরকম অনিশ্চয়তা দেখতে চান না। অনেকেই বলছেন, ঘুরিয়ে তাঁকে টেস্ট দল থেকে বাদ দেওয়ায় নির্বাচক কমিটি ও কোহলিকে বিঁধেছেন রোহিত।
মুরলী বিজয় ও করুণ নায়ারও বলেছেন, দল থেকে বাদ দেওয়ার আগে তাঁদের সঙ্গে কথা বলা হয়নি। তাঁদের ওই বক্তব্য দল ভালোভাবে নেয়নি বলেই মনে করা হচ্ছে।
আসন্ন অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড বিরুদ্ধে কঠিন সিরিজের আগে এবং বিশ্বকাপের আগে বোর্ডের কমিটি ক্রিকেটারদের মধ্যে মতপার্থক্য দূর করার চেষ্টা করবে।