ইন্দোর: প্রায় ১৪ মাস পরে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ভাগ্যের দোষে রান আউট হতে হয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে নিজের প্রথম বলেই খাতা খোলার আগেই বোল্ড হয়ে যান। কিন্তু বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এক অনন্য নজির গড়লেন রোহিত শর্মা। তিনিই বিশ্বের একমাত্র পুরুষ ক্রিকেটার যিনি ১৫০ বা তার বেশি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেললেন। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টস করতে নামার সঙ্গে সঙ্গে এই কৃতিত্বের অধিকারী হলেন ভারত অধিনায়ক।  রোহিতের এর চেয়ে ১৬টি ম্যাচ কম খেলে এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন আয়ারল্যান্ডের পল স্টারলিং। এখনও পর্যন্ত ১৩৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। তৃতীয় স্থানে তাঁর সতীর্থ জর্জ ডকরেল। ১২৮টি ম্যাচ খেলেছেন এই আইরিশ ক্রিকেটার। রোহিত ছাড়া ভারতীয়দের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বাধিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন বিরাট কোহলি। মোট ১১৬টি ম্য়াচ খেললেন কিং কোহলি। 


আগেই ঠিক ছিল যে বিরাট কোহলি ফিরছেন এই ম্যাচে। সেই মত তিলক ভার্মার পরিবর্তে দলে ঢুকলেন কোহলি। ২০২২  নভেম্বরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এই প্রথমবার টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্য়াচ খেলছেন কোহলি। অন্য়দিকে গিলের পরিবর্তে যশস্বী জয়সওয়ালকে একাদশে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আফগানিস্তানের হয়ে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন রহমনউল্লাহ গুরবাজ ও অধিনায়ক ইব্রাহিম জাদরান। প্রথম দুই ওভারে অর্শদীপ ও মুকেশ মিলে ২০ রান দেন। রোহিত আক্রমণে নিয়ে আসেন রবি বিষ্ণোইকে। প্রথম ওভারেই উইকেট তুলে নেন বিষ্ণোই। শিবম দুবের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৪ রান করে ফিরে যান ক্রমশ বিপজ্জ্বনক হয়ে ওঠা গুরবাজ। ইব্রাহিম ৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন অক্ষর পটেলের বলে। এরপর আজমাতউল্লাহ ২ রান করে শিবম দুবের বলে আউট হন। এদিন তিন নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমেছিলেন গুলবদিন নইব। আফগানিস্তান শিবিরে কিছুটা অক্সিজেনের জোগান দেন এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। ২০১৫ সালে নিজের টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম অর্ধশতরান হাঁকিয়েছিলেন। আর এদিন কেরিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি অর্ধশতরান হাঁকালেন। ৩৫ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন এদিন। নিজের ইনিংসে পাঁচটি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা হাঁকান গুলবদিন। শেষ পর্যন্ত রবি বিষ্ণোই তাঁকেও ফিরিয়ে দেন। শেষদিকে করিম জানাত ও মুজিব উর রহমন মিলে দলের স্কোর দেড়শোর গণ্ডি পার করিয়ে দেন এরপর। ১৭২ রানে থামে আফগানদের ইনিংস।