নয়াদিল্লি: রাজস্থান ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতেই আই লিগ খেতাব নিজেদের নামে করে নেওয়ার সুযোগ ছিল রাউন্ডগ্লাস পঞ্জাব এফসির (RoundGlass Punjab) সামনে। সেই সুযোগ একেবারেই হাতছাড়া করেনি উত্তর ভারতের ক্লাবটি। দাপটের সঙ্গে ৪-০ স্কোরলাইনে ম্যাচ জিতে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই আই লিগ (I-League) খেতাব নিজেদের নামে করে ফেলল রাউন্ডগ্লাস পঞ্জাব।


আইলিগ জয়ী রাউন্ডগ্লাস


ম্যাচের ১৬ মিনিটের মাথায় রাজস্থান রক্ষণের এক ভুলের সুযোগ নিয়ে রাউন্ডগ্লাসকে এগিয়ে দেন চেঞ্চো। ২৫ মিনিটের মাথায় রাজস্থানের মিডফিল্ডার জকিরভ ম্যাচে সমতা ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিলেন বটে। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন তিনি। ম্যাচের ৪০ মিনিটের মাথায় অজয় ছেত্রীর ক্রস থেকে লুকা মাজকেন রাউন্ডগ্লাসের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন। রাজস্থানের দখলে যথেষ্ট পরিমান বল থাকলেও, তাঁদের দলে গোল করার লোকের অভাব স্পষ্টভাবে চোখে পড়ে। 


প্রথমার্ধে দুই গোল করার পর দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুই গোল করে রাউন্ডগ্লাস, লুকার ভাসানো বল থেকে চেঞ্চো নিজের দখলে আনেন এরপরেই মেরা চেঞ্চোর বাড়ানো বল জালে জড়িয়ে স্কোরলাইন ৩-০ করে দেন। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগে জুয়ান নেল্লার ফ্রি-কিক থেকে রাউন্ডগ্লাস আরও একটি গোল পায়। ম্যাচ শেষ হয় ৪-০ স্কোরলাইনে। এই জয়ের সুবাদে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই শ্রীনিধি ডেকানের থেকে আট পয়েন্ট এগিয়ে যায় রাউন্ডগ্লাস পঞ্জাব। ফলে খেতাবও তাঁদের দখলে চলে আসে। ২০১৭-১৮ সালে পঞ্জাবের শেষ দল হিসাবে মিনার্ভা পঞ্জাব আই লিগ জিতেছিল। তার পাঁচ বছর পর আবারও পঞ্জাবের কোনও দল আইলিগ জিতল।


ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল যে এ বারের মরসুমের আই লিগ চ্যাম্পিয়নরা পরেরবারের আইএসএলে কোনও এন্ট্রি ফি ছাড়াই খেলার সুযোগ পাবে। ফলে লিগ জেতায় রাউন্ডগ্লাসকে পরের মরসুমে আইএসএলে খেলতে দেখা যাবে। পাশাপাশি লিগ জিতে আসন্ন সুপার কাপেও সরাসরি খেলার অধিকার অর্জন করে নিল রাউন্ডগ্লাস পঞ্জাব। 


সেমিফাইনালে সবুজ-মেরুন


যুবভারতী স্টেডিয়ামে ওড়িশা এফসি-কে ২-০ গোলে হারিয়ে দিয়ে সেমিফাইনালে চলে গেল এটিকে মোহনবাগান (ATK Mohun Bagan)। ম্যাচের শুরু থেকে বলে দখল বেশি থাকলেও সেভাবে ওপেন করতে পারছিল না সবুজ মেরুন। ওড়িশা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা ব্লক করে আটকে দিচ্ছিল সবুজ মেরুন ফুটবলারদের। ১১ মিনিটেই গোড়ালিতে লেগে উঠে গেলেন মোহনবাগানের আশিক কুরুনিয়ান। তাঁর জায়গায় নিয়ে আসা হয় লিস্টনকে।


ম্যাচের ৩৬ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় খুয়ান ফেরান্দোর দল। দিমিত্রির কর্নার ফ্লিক করলেন মনবীর। হুগো বুমৌস বাঁ পায়ের শটে বল জালে পাঠালেন। দ্বিতীয় গোল পেল মোহনবাগান ৫৮ মিনিটে। এবার নাম লেখালেন দিমিত্রি। কার্ল একটা বল কেড়ে নিয়ে বাড়িয়েছিলেন। দিমিত্রি ডান পায়ের জোরাল শটে বল পাঠিয়ে দেন জালে। এই নিয়ে চলতি লিগে ৯ গোল হয়ে গেল তার। 


ম্যাচের ৫৯ মিনিট। ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে দুই গোলে এগিয়ে থেকে চালকের আসনে তখন এটিকে মোহনবাগান। স্বভাবতই খুশি সল্টলেকের গ্যালারি। হঠাৎ করে দুর্ঘটনা। বল ধরতে গিয়ে মাঠের মধ্যেই লুটিয়ে পড়লেন মোহনবাগানের গোলকিপার বিশাল কাইথ। শেষ অবধি যদিও নিজের পায়ে হেঁটেই অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য যান তিনি। তবে সেমিফাইনালের আগে নিশ্চিত ভাবেই চিন্তায় রাখলেন এটিকে মোহনবাগানকে। 


আরও পড়ুন: বল হাতে আগুন ঝরালেন বাংলার সাইকা, ১৪৩ রানে গুজরাতকে হারাল মুম্বই