গত শনিবার মার্সেইয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে মাঠেই ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন দুদেশের সমর্থকরা। স্টেডিয়ামে হাঙ্গামা ও বর্ণবিদ্বেষী আচরণ করার অভিযোগ ওঠে রুশ সমর্থকদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি, স্টেডিয়ামে আতসবাজি ছাড়ার অভিযোগও আনা হয়েছে। বিষয়টিকে হাল্কাভাবে নেয়নি উয়েফা। এদিন সংস্থার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বৈঠকে রাশিয়াকে চরমবার্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সেই অনুসারে, রাশিয়াকে দেড় লক্ষ ইউরো জরিমানা করেছে উয়েফা। পাশাপাশি এ-ও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আরেকবার এধরনের ঘটনা ঘটলে রাশিয়াকে আর খেলতে দেওয়া হবে না ইউরো কাপে। উয়েফার বিবৃতি অনুযায়ী, চলতি ইউরো কাপ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে।
উয়েফার সংবিধান অনুযায়ী, কোনও দেশের সমর্থকরা যদি স্টেডিয়াম এবং তার সংলগ্ন অঞ্চলে হাঙ্গামা বাধায়, তা হলে সংশ্লিষ্ট দেশকে জরিমানা ও শাস্তি দিতে পারে তারা। বুধবার লিলেতে স্লোভাকিয়ার বিরুদ্ধে এবং আগামী সোমবার টুলুজে ওয়েলসের বিরুদ্ধে খেলবে রাশিয়া।
এদিকে, বেশ কিছু রুশ সমর্থককেও ফ্রান্স থেকে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে ফরাসি কর্তৃপক্ষ। বুধবার স্লোভাকিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নামবে রাশিয়া।
এই প্রথম নয়। এর আগেও রুশ সমর্থকদের বিরুদ্ধে ঝামেলা পাকানোর অভিযোগ উঠেছে। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ইউরো কাপে পোল্যান্ডের রোক্ল-তে স্টেডিয়ামের নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে রুশ সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
এছাড়া, চার বছর আগে চলতি ইউরো কাপের যোগ্যতা-নির্ণয়ক পর্যায়র সময়েও একইভাবে দর্শক-হাঙ্গামার জন্য রাশিয়াকে সতর্ক করেছিল উয়েফা। বলা হয়েছিল, আরেকবার স্টেডিয়ামে ঝামেলা হলে শাস্তিস্বরূপ হোম ম্যাচগুলি ফাঁকা স্টেডিয়ামে খেলতে হবে।
এদিকে, উয়েফার শাস্তিকে মেনে নিয়েছে রাশিয়া। এদিন সেদেশের ক্রীড়ামন্ত্রী তথা রুশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি ভিটালি মুটকো জানান, তাঁরা উয়েফার সিদ্ধান্ত মেনেই চলবেন। অপরাধের তুলনায় শাস্তি বেশি হয়েছে বলে জানিয়েও তিনি যোগ করেন, এবিষয়ে তাঁরা আবেদন করবেন না।
Web Dek, ABP Ananda