নয়াদিল্লি: বাইশ গজে সচিন তেন্ডুলকর ও গ্লেন ম্যাক গ্রার লড়াই একটা সময় ক্রিকেট বিশ্বে ছিল সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয়। ৯০-এর দশকে অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলার ম্যাক গ্রা-র সঙ্গে তাঁর দ্বৈরথ নিয়ে মুখ খুললেন ভারতের প্রাক্তন ব্যাটিং স্তম্ভ সচিন তেন্ডুলকর। সেই সময় বিশ্বের অন্যতম সেরা বোলার ছিলেন ম্যাকগ্রা। নিজের কেরিয়ারের অন্যতম সেরা বোলার ম্যাকগ্রার বিরুদ্ধে কীভাবে দাপট দেখিয়েছিলেন, সেই কাহিনী জানালেন সচিন। তিনি ১৯৯৯-এর অ্যাডিলেড টেস্টের একটা আকর্ষনীয় ঘটনার কথা জানিয়েছেন। ওই টেস্টে বাইশ গজে কার্যত মস্তিষ্কের ব্যবহার করে ম্যাকগ্রার আক্রমণ ভোঁতা করে দিয়েছিলেন।
ওই টেস্টে ম্যাকগ্রা যখন নিজের ছন্দে বোলিং করছিলেন, তখন ধৈর্য ও সংযত থেকে মোকাবিলা করেছিলেন সচিন। পরের দিন পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছিলেন।
সচিন বলেছেন, ১৯৯৯-এ আমাদের প্রথম ম্যাচ ছিল অ্যাডিলেডে...যেদিন প্রথম ইনিংসে ব্যাট নামলাম, সেদিনের খেলা তখন ৪০ মিনিটের মতো বাকি ছিল। ম্যাকগ্র বল করতে এসে আমাকে পাঁচ-ছয়টা মেডেন ওভার করে। আসলে এটা ওদের কৌশল ছিল। ৭০ শতাংশ বল যেন উইকেটরক্ষক অ্যাডাম গিলক্রিস্টের দস্তানায় যায়।
স্টার স্পোর্টসের সঙ্গে সচিনের এই ভিডিও চ্যাট ট্য়ুইট করেছে বিসিসিআই।
সচিন বলেছেন, ওদের কৌশল ছিল..সচিনকে হতাশ করে তোলো। ৭০ শতাংশ বল যেন গিলক্রিস্টের দস্তানায় যায়, আর ১০ শতাংশ রাখো ব্যাটের কাছে। যদি ও খেলে বা অফস্ট্যাম্পের বাইরের বল তাড়া করে তাহলে আমরা সফল হব।
অজি ব্রিগেডের এই পরিকল্পনা থাকলেও পাল্টা কৌশলও তৈরি করে ফেলেন সচিন। তিনি বলেছেন, ওদের কৌশল বুঝতে পেরে আমি যত বেশি সম্ভব বল ছাড়তে থাকি। বেশ কয়েকটা ভালো বলও হয়, যেগুলিতে আমি পরাস্ত হই। কিন্তু মনে মনে বলেছিলাম, ভালো বল করেছ। এখন আমার ফিরে গিয়ে বল কর। আমি ক্রিজে রয়েছি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ সেঞ্চুরির মালিক বলেছেন, আমার মনে আছে, পরের দিন সকালে আমি কয়েকটা বাউন্ডারি মেরেছিলাম। কারণ, তা ছিল একটা নতুন দিন এবং আমরা উভয়েই এক পর্যায়ে রয়েছি। তার আগের দিন আমি ভেবেছিলাম, আমাকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। পরের দিন সকালে আমার ইচ্ছে মতো খেলব। তুমি আমাকে তখন আমি কীভাবে খেলব, তা নিয়ন্ত্রণ করবে না। বরং তুমি কোথায় বল করবে, তা আমি নিয়ন্ত্রণ করব।