মুম্বই: কে বলে কিংবদন্তিরা কুসংস্কার বিসর্জন দেন! অনেকেই আছেন যাঁরা বিভিন্ন অন্ধ বিশ্বাস মেনে চলেন। মনে করেন, তাঁদের সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছে এই সব বিশ্বাস।
সচিন তেন্ডুলকর (Sachin Tendulkar) যেমন। তাঁর ব্যাটিং কীর্তি জরিপ করতে বসলে আস্ত একটা বই হয়ে যেতে পারে। ২৪ বছরের আন্তর্জাতিক কেরিয়ার। সচিন খেলেছেন ২০০টি টেস্ট ম্যাচ, ৪৬৩টি ওয়ান ডে ম্যাচ। একটি টি-টোয়েন্টিও খেলেছেন সচিন। সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একশো সেঞ্চুরি। ওয়ান ডে ক্রিকেটে ৪৯ সেঞ্চুরি। টেস্টে ৫১টি। টেস্ট ক্রিকেটে ১৫৯২১ রান। ওয়ান ডে ক্রিকেটে ১৮৪২৬ রান। একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে করেছেন ১০ রান।
রানের পাহাড়ে বসেও সচিন জানিয়েছেন, তিনি নিজের রানসংখ্যা কখনও গোনেননি। এক সাক্ষাৎকারে সচিন বলেন, ‘আমি কিছু কুসংস্কার মেনে চলতাম। যার মধ্যে অন্যতম হল, আমি নিজের রান গুনতাম না। আমার মনে হতো, রান গুনতে শুরু করলে তা আসা বন্ধ হয়ে যাবে।’
পাকিস্তান সফরের ভারতীয় দলে যখন ডাক পেয়েছিলেন, অনেকের চোখ কপালে উঠেছিল। এ তো নিতান্ত বালক! বয়স মাত্র ১৬! আর সে কি না সামলাবে ইমরান খান, ওয়াসিম আক্রম, ওয়াকার ইউনিসকে! সচিন সেই সফরের কাহিনিও জানিয়েছেন। বলেছেন, ‘আমার দাদা অজিত সেই সফরে আমার খেলা দেখতে গিয়েছিল। লাহৌর ও শিয়ালকোটে ও ছিল। শিয়ালকোট টেস্টে আমাদের দ্বিতীয় ইনিংসে যখন আমি বলের আঘাত পাই, ড্রেসিংরুমের সামনেই বসেছিল আমার দাদা। আমি চোট পাওয়ার মিনিট ১৫ পরেই চা পানের বিরতি ছিল। সেই সময় কাউকে চিনলে সে ড্রেসিংরুমে পর্যন্ত যেতে পারত। চা পানের বিরতিতে অজিত ড্রেসিংরুমে গিয়েছিল আমার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে। আমি ওকে বলেছিলাম, চিন্তার কিছু নেই। আমি ঠিক আছি। ব্যাট করতে নামব। আসলে ব্যাটাররাও কিছুটা বক্সারদের মতো। বক্সারদের মার খাওয়া অভ্যাস করতে হয়। ব্যাটারদেরও। আমি অভ্যস্ত ছিলাম।’ যোগ করেছেন, ‘একজন ব্যাটার চোট পাওয়ার পর ফের মাঠে নেমে খেলছে, এটাই মানসিকভাবে প্রতিপক্ষ শিবিরকে চাপে রাখে। আর আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয় সেই ব্যাটারের।’
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ২ টেস্ট থেকে সরে দাঁড়ালেন কোহলি, বোর্ডের ঘোষণায় তীব্র জল্পনা
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে