সাউদাম্পটন: শনিবার আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। মনে করা হচ্ছিল, সাউদাম্পটনে ব্রিটিশদের মতোই রানের উৎসব করবে বিরাট  ব্রিগেড। বিরাট কোহলি যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, কোনও ভারতীয় ফ্যানই কল্পনা করতে পারেনি রাশিদ খান, মহম্মদ নবি, মুজিব উর রহমানদের বিরুদ্ধে আড়াইশো রানও তুলতে পারবে না বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদাররা। মিডল অর্ডার যেভাবে আফগান স্পিনারদের খেলছেন তা দেখে বোঝার উপায় ছিল না, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, কেদার যাদবরা সাদা বলের ক্রিকেট খেলছেন নাকি টেস্টের পঞ্চম দিনে ম্যাচ বাঁচানোর জন্য ব্যাট করছেন।





মুজিব (১০), নবি (৯), রাশিদ (১০)- তিন স্পিনারের মোট ২৯ ওভারে এসেছে মাত্র ৯৭ রান। ভারতীয় ব্যাটিংয়ের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানই উইকেট দিয়ে এসেছেন স্পিনারদের। এমনকি ধোনি, যাদব, হার্দিকদের সামনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে দিয়েছিল পার্ট-টাইম স্পিনার রহমত শাহও। বিরাট বাদ দিয়ে বাকি সব ব্যাটসম্যানকেই স্পিনারদের সামনে নড়বড়ে দেখিয়েছে। যা দেখার পর প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত বলছেন, “আফগান স্পিনারদের প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সম্মান দিয়েছে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা।”





সচিন তেন্ডুলকরের মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটার পর্যন্ত বলছেন, “ধোনি-যাদবের যুগলবন্দিতে কোনও ইতিবাচক ব্যাটিং ছিল না। আমি হতাশ। আরও ভাল পারফর্ম্যান্স ওরা করতে পারত।”


শনিবার সাউদাম্পটনে আফগানদের বিরুদ্ধে ৩৬ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলেছেন ধোনি। ৪৮ বলে ৩১ করেছেন কেদার যাদব। দুইয়ে মিলে ৮৪ বলে ৫৭ রানের যুগলবন্দি করেন। ৩৮ থেকে ৪৫ ওভারের মধ্যে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের এমন মন্থর ব্যাটিং দেখে ‘অখুশি’ সচিন। ‘বিশ্ব ক্রিকেটের এভারেস্ট’ কোনও রাখঢাক না রেখেই বলছেন, “কেদার ও ধোনি দুজনেই প্রয়োজনীয় স্ট্রাইক রেট তুলতে পারেনি। মাঝের ওভারে আরও ভাল ব্যাটিংয়ের প্রয়োজন ছিল, আর সেটা না হওয়াতেই কেদার আরও চাপে পড়ে যায়।” উইকেট স্লো থাকলেও ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের আরও স্বাধীনভাবে খেলা উচিত ছিল বলেই মনে করেন ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের সদস্য শ্রীকান্তও।