মুম্বই: ক্রিকেটের মাস্টার ব্লাস্টার তিনি। বিশ্ব ক্রিকেটের ভগবান হিসেবে গন্য করা হয় তাঁকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে (International Cricket) তিনি একশো সেঞ্চুরির মালিক। সেই সচিন তেন্ডুলকরের  (Sachin Tendulkar) মূর্তি এবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে (Wankhede Stadium)। মুম্বইয়ে এই মাঠেই ঘরোয়া ক্রিকেটে হাতেখড়ি হয়েছিল সচিনের। প্রিয় ওয়াংখেড়েতেই বসেছে তাঁর আদলে মূর্তি। সেই মূর্তির উন্মােচন হবে আগামীকাল। মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (Maharashtra Cricket Association) তরফে এক বিবৃতি দিয়ে তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।


আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ২০০ টেস্ট খেলার নজির গড়েছেন সচিন। নিজের টেস্ট কেরিয়ারে ১৫ হাজার ৯২১ রান করেছেন মাস্টার ব্লাস্টার। ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে ১৮ হাজার ৪২৬ রান করেছেন সচিন। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সচিন তেন্ডুলকর স্ট্যান্ডের সামনে এই মূর্তি রয়েছে। চলতি বছর এপ্রিলেই নিজের ৫০ তম জন্মদিন পালন করেছেন সচিন। তাঁর ৫০ তম জন্মদিন সেলিব্রেশনের জন্যই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে এই মূর্তি তৈরি করা হয়েছে। আগামীকাল এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্ধে ও উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। 


উল্লেখ্য, প্রথমে ঠিক ছিল ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের দিনই মূর্তি উন্মােচন করা হবে। অবশেষে সেই সিদ্ধান্ত বদলে আগামীকালই উন্মোচনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।


সচিন ছয় ছয়টি বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ভারতের মাটিতে ২০১১ সালে আয়োজিত শেষ ৫০ ওভারের বিশ্বকাপেই সচিনের দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ হয়। বিশ্বখেতাব জেতে ভারতীয় দল। এবারের বিশ্বকাপের আগে মুকুটে নতুন পালক যুক্ত হয়েছে সচিনের।  'মাস্টার ব্লাস্টার'কে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা আইসিসিরতরফে বিশ্বকাপের গ্লোবাল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ঘোষণা করা হয়েছিল। সেটাই তাঁর জীবনের সবথেকে গর্বের মুহূর্ত বলে জানিয়েছিলেন সচিন। অতীতের স্মৃতচারণা করে সচিন বলেন, '১৯৮৭ সালে বল বয় থেকে দেশের হয়ে ছয়টি টুর্নামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করা, বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট সবসময়ই আমার কাছে বিশেষ অনুভূতির। ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ই আমার ক্রিকেট সফরের সবথেকে গর্বের মুহূর্ত।'


সচিন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসাবে নিযুক্ত হলেও, আরও একগুচ্ছ কিংবদন্তিকে অ্যাম্বাসাডর হিসাবে দায়িত্ব দিয়েছে আইসিসি। এদের মধ্য়ে ভিভি রিচার্ডস, এবি ডিভিলিয়ার্স থেকে ইয়ন মর্গ্যান, অ্যারন ফিঞ্চরা রয়েছেন। রয়েছেন সুরেশ, রায়না, মিতালি রাজরাও। বিশ্বকাপে দর্শকদের সঙ্গে বিভিন্ন ইভেন্টের মাধ্যমে এই কিংবদন্তিরা দেখাসাক্ষাৎ করবেন। নির্দিষ্ট কিছু ম্যাচে তাঁরা মাঠে উপস্থিতও থাকবেন।