নয়াদিল্লি: ৯ বছর আগের দাবির পুনরাবৃত্তি করে শাহিদ আফ্রিদি ফের বললেন, শোয়েব আখতারকে খেলতে ভয় পেতেন সচিন তেন্ডুলকর। প্রাক্তন পাক অলরাউন্ডারের অভিমত, সচিন কথাটা অবশ্য স্বীকার করতে চাইবেন না, কিন্তু এটা সত্যি। প্রাক্তন পাকিস্তানি ফাস্ট বোলারের কিছু স্পেল বিরোধী শিবিরের ব্যাটসম্যানদের বুকে কাঁপুনি ধরিয়ে দিত বলেও মন্তব্য করেছেন আফ্রিদি। ২০১১ সালে যে কথা তিনি বলেছিলেন, আজও তাই বলবেন বলেও জানিয়েছেন।

আখতারই অবশ্য প্রথম আত্মজীবনী ‘কন্ট্রোভার্সিয়ালি ইয়োর্স’-এ বলেছিলেন, সচিন তাঁর আগুনে পেসের সামনাসামনি হতে ভয় পেতেন। ২০১১য় তাঁর সেই মত সমর্থন করেন আফ্রিদি। বলেন, তিনি শর্ট লেগে ফিল্ডিং করতে করতে দেখেছিলেন, আখতার বল করতে এলে সচিনের পা কাঁপছিল, এমনকী ২০১১-র বিশ্বকাপে তরুণ স্পিনার সঈদ আজমলের সামনেও ভয়ে গুটিয়ে যেতে দেখেছিলেন সচিনকে।

ইউটিউবে দেওয়া সাক্ষাত্কারে আফ্রিদি বলেছেন, সচিন অবশ্যই মুখে বলবে না আমি ভয় পাই। আখতারের এমন কিছু স্পেল ছিল যা শুধু সচিন কেন, বিশ্বের কয়েকজন সেরা ব্যাটসম্যানকেও সন্ত্রস্ত করে দিত। আর মিড অফ বা কভারে দাঁড়িয়ে ফিল্ডিংয়ের সময় এটা দেখতাম। একটা প্লেয়ারের শরীরী ভাষা টের পাওয়া যায়। বোঝা যায়, সেই ব্যাটসম্যান নিজের স্বাভাবিক ছন্দে নেই, চাপে রয়েছে।

তবে আফ্রিদি একইসঙ্গে বলেছেন, বলব না যে, আখতারকে সবসময় সচিন ভয় পেত, কিন্তু আখতারের কিছু স্পেল দেখেছি যা বিশ্বসেরাদের কয়েকজনকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিত।

এবার দেখা যাক, মুখোমুখি লড়াইয়ে কে কার ওপর আধিপত্য খাটিয়েছেন, সচিন না আখতার? অতীতে দুজনের লড়াই দারুণ উপভোগ্য হত। ২০০৩ এর বিশ্বকাপে আখতারের বোলিং দারুণ সামলে প্রাধান্য বিস্তার করলেও সচিনকে স্মরণীয় শতরানে পৌঁছনোর আগেই ফেরত পাঠিয়েছিলেন রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস।

১৯টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে আখতারের বিরুদ্ধে সচিনের গড় ছিল ৪৫। তাঁকে ৫ বার আউট করেন আখতার। আর ৯টি টেস্টে তিনবার সচিনের উইকেট ঝুলিতে পোরেন তিনি।