নয়াদিল্লি:  আন্তর্জাতিক ম্যাচে ১০ নম্বর জার্সি তুলে রাখার সিদ্ধান্ত বিসিসিআইয়ের। কারণ, ভারতীয় দলের কোনও খেলোয়াড়ই ব্যাটিং আইকনের প্রতি শ্রদ্ধাবশত ওই নম্বরের জার্সি পরতে রাজি নন।  তাই কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচে ভারতীয় দলের কোনও ক্রিকেটারকে দেখা যাবে না এই জার্সিতে।বোর্ড ঘরোয়াভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে।বোর্ডের এক কর্তা বলেছেন, এটা একেবারেই কোনও ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। কোনও খেলোয়াড় যদি বিশেষ কোনও নম্বরের জার্সি না পরতে চান, তাহলে তাঁকে বাধ্য করা যায় না। আইসিসি বলতে পারে যে, কোনও দল আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বিশেষ নম্বরের জার্সি তুলে রাখতে পারে না। তবে, আইসিসি কখনই বলবে না যে, ওই নম্বরের জার্সি পরা বাধ্যতামূলক। কাজেই বিসিসিআই আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই জার্সি তুলে রাখার কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। এটা একেবারেই খেলোয়াড়দের পছন্দ-অপছন্দের বিষয়।


একদিনের ক্রিকেটে পুরো কেরিয়ারেই এই জার্সি পরেই খেলেছেন সচিন তেন্ডুলকর। তাই এই নম্বরের জার্সিটা সচিনের সঙ্গেই কার্যত জড়িয়ে গিয়েছে।

২৪ বছরের সুদীর্ঘ কেরিয়ারের ইতি টেনে ২০১৩-র নভেম্বরে অবসর নিয়েছিলেন ১০০ সেঞ্চুরির মালিক। ১০ নম্বর জার্সিতে তাঁকে শেষবার দেখা গিয়েছে ২০১২-র মার্চে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে।

তারপর থেকে প্রায় পাঁচ বছর ওই জার্সি কোনও খেলোয়াড়ই ব্যবহার করেননি। কিন্তু গত আগস্টে কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অভিষেক ম্যাচে ১০ নম্বর জার্সি পরে খেলতে নামেন মুম্বইয়ের ফাস্ট বোলার শার্দূল ঠাকুর। আর এই ঘটনা নিয়ে ওই পেসার ও বোর্ডকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। নেটিজেনরা ঠাকুরকে কটাক্ষ করে বলেন, ওই পেসার সচিন হওয়ার চেষ্টা করছেন।

এই ঘটনার পর বোর্ডের এক কর্তা জানিয়েছেন, অনভিপ্রেতভাবে বিতর্ক তৈরি করা হচ্ছে এবং সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়ের সমালোচনা হচ্ছে। তাই ওই নম্বরের জার্সি অঘোষিতভাবে চিরতরে তুলে রাখাই ভালো। এ দল বা অন্য কোনও ম্যাচে ওই জার্সি ব্যবহার করা হবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ম্যাচে নয়।

উল্লেখ্য, সচিনের অবসরের পর আইপিএলের দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ওই জার্সি তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বোর্ড এই জার্সি তুলে রাখার বিষয়ে দলের প্রথমসারির ক্রিকেটারদের সঙ্গেও কথা বলেছে। তাঁরাও ওই নম্বরের জার্সি তুলে রাখার পক্ষেই মত দিয়েছেন।