বেঙ্গালুরু: একটা প্রবাদ আছে, সকালটা দেখলে বোঝা যায় সারাটা দিন কেমন যাবে। ঠিক তেমনই। এদিন খেলার শুরুতেই খেলার গতি প্রকৃতি বদলে দিয়েছিলেন তিনি। মাত্র ষোলো মিনিটের মধ্যে জোড়া গোল করেছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধে এসে হ্য়াটট্রিক করলেন। গোল পেলেন উদান্ত সিংহও। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম ম্যাচেই দুরন্ত জয় ভারতের। ৪-০ গোলে জয় ছিনিয়ে নিল ইগর স্তিমাচের দল।  


প্রথমার্ঝে জোড়া গোলে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে কিছুটা আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলা শুরু করেছিল পাকিস্তান। ৭২ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি পেয়ে যায় ভারত। সুনীল ছেত্রী আরও একটি গোল করেন পেনাল্টি থেকে। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই আরও একটি গোল পেয়ে যায় ভারত। ৮১ মিনিটের মাথায় উদান্ত সিংহ গোল করেন ভারতের হয়ে চতুর্থ গোলটি। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পর আরও ৬ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হলেও তাতে কােনও গোলশোধ করতে পারেনি পাকিস্তানের ফুটবলাররা। 


 সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে (SAFF Championship) দুরন্ত শুরু ভারতের। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমে প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে গেল ভারত। জোড়া গোলই করলেন ভারত অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে লেবাননের বিরুদ্ধেও সুনীলের গোলেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। সেই ফর্মই ধরে রাখলেন ছেত্রী। এদিন খেলা শুরুর আগেই পাকিস্তানকে সমীহ করেছিলেন ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ ইগর স্তিমাচ। ক্রমতালিকায় কে এগিয়ে, কে পিছিয়ে তার ওপর ভিত্তি করে যে ম্যাচের ফেভারিট বাছাই করাটা ভুল হবে তা জানিয়ে দেন তিনি। তবে ম্যাচের শুরুতেই ১০ মিনিটের মাথায় গোল করে ভারতকে এগিয়ে দিয়ে পাকিস্তানের ওপর চাপ তৈরি করে দেন সুনীল ছেত্রী। তার কিছুক্ষণের মধ্যে ১৬ মিনিটের মাথায় ফের গোল করেন ছেত্রী। খেলা শুরুর প্রথম ষোলো মিনিটের মাথায় জোড়া গোল হজম করে চাপ বেড়ে যায় পাকিস্তানের।



এদিন খেলার শুরুতে ৩ মিনিটের মাথায় পাকিস্তানের সামনে সুযোগ চলে এসেছিল গোল করার। কিন্তু মিস করেন তাদের স্ট্রাইকার। এরপর ৭ মিনিটের মাথায় পাক গোলরক্ষক শাকিব হানিফের ভুলে সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন ছেত্রী একবার। কিন্তু তিনি গোল করতে পারেননি সেখান থেকে। যদিও পরে জোড়া গোল করে দলকে এগিয়ে দেন তিনি। 


এরই মাঝে একবার পাকিস্তানের থ্রো ইনের সুযোগ আসে প্রথমার্ধের শেষ দিকে। সেই সময় সাইড লাইন থেকে বল নিয়ে নিয়েছিলেন ভারতীয় দলের হেডকোচ ইগর স্তিমাচ। মুহূর্তের মধ্যে মাঠেই ঝামেলা শুরু হয়। পাকিস্তানের ফুটবলাররা ক্ষিপ্র হয়ে ওঠেন। এগিয়ে আসেন সন্দেশ ঝিঙ্ঘান, অনিরুদ্ধ থাপারা। ইগর স্তিমাচকে লাল কার্ডও দেখানো হয়। সন্দেশকে হলুদ কার্ড দেখতে হয়। পাকিস্তানের নবিকেও হলুদ কার্ড দেখতে হয়।