বেঙ্গালুরু: বয়স ৩৬ পেরিয়েছে। কিন্তু এই বয়সেই তিনি অপ্রতিরোধ্য। তরুণ ফুটবলারকেও গতি থেকে স্কিল, ফিটনেস সবেতেই টেক্কা দিচ্ছেন। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করেছেন। দলকে জিতিয়েছেন। ঝুলিতে পুরেছেন ৯০ আন্তর্জাতিক গোল। এশিয়ার ফুটবলারদের মধ্যে এই মুহূর্তে দ্বিতীয় সর্বােচ্চ গোলস্কোরার সুনীলই। ভারত অধিনায়ক অবশ্য এই নিয়ে বেশি ভাবতে নারাজ। নিজের লক্ষ্যে স্থির তিনি। আরও বেশি করে দেশের হয়ে গোল করতে চান। বেশি করে দেশকে জেতাতে চান। গতকাল ম্যাচের পর সুনীল বলেন, ''সত্যি কথা বলতে আমি কখনওই ভাবিনি যে আমি এতগুলাে ম্যাচ কোনওদিন খেলতে পারব। এত গোল করতে পারব। আমি ভাগ্যবান যে দেশের হয়ে এত ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছি। আমি এখনও ড্রেসিংরুমে সব তরুণ ফুটবলারদের একটাই বার্তা দিই যে ফিটনেসের দিক থেকে যেন তালিকায় সবার শেষে আমার নাম থাকে। তরুণদের উদ্বুদ্ধ করতে চাই এভাবে। যাতে প্রত্যেকে নিজেকে নিংড়ে দেয়। আর এভাবেই দল হিসেবে আমরা সাফল্য পেয়ে থাকি।''


লেবাননের বিরুদ্ধেও ফাইনালে গোল করে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে দলকে জিতিয়েছিলেন সুনীল ছেত্রী। এর ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে নেমে পাকিস্তানকে হারায় ভারত। সুনীল বলেন, ''লেবানেন বিরুদ্ধে জয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল। ওড়িশার আবহাওয়াও আমাদের অনুকূলে ছিল না। প্রত্যেকেই কম বেশি ক্লান্ত ছিলাম। কিন্তু এই বিষয়গুলো মাথায় আনতে চাইনি কেউই। দল হিসেবে খেলতে নেমেছিলাম। দল হিসেবে জয় পেয়েছি।''


বিশ্ব ফুটবলের চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলের মালিক সুনীল আরও বলেন, ''দলের ছেলেদের দেখলে আমি ভীষণ খুশি হই। কয়েক বছর আগে সন্দেশ ও গুরপ্রীত আমার কাছে এসেছিল চেঞ্জরুমে। তখন ওদের সঙ্গে আমি কথা বলেছিলাম কীভাবে দলটাকে গড়ে তোলা যায়। কীভাবে দলের মধ্যে শৃঙ্খলা নিয়ে আসা যায়। এখন সেই ধারা, সেই সংস্কৃতিটাই ওরা ২ জন বয়ে নিয়ে চলেছে। তরুণদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।''


গতকালের ম্যাচে প্রথমার্ধে ১০ মিনিটের মাথায় গোল করে ভারতকে এগিয়ে দিয়েছিলেন সুনীল ছেত্রী। ১৬ মিনিটের মাথায় ফের গোল করেন তিনি। প্রথমার্ধে আর কোনও দল গোল করতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে ৭২ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করেন ফের সুনীল। ৮১ মিনিটে দলের হয়ে শেষ গোলটি করেন উদান্ত সিংহ।