নয়াদিল্লি: ইডেন গার্ডেন্সে প্রথমবার দিন-রাতের টেস্ট খেলতে নামবে ভারত। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশে। আগামী ২২ নভেম্বর থেকে ২৬ নভেম্বর বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টটি হবে দিন-রাতের। নৈশালোকে পাঁচদিনের ফরম্যাটের এই ম্যাচের চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত ভারতীয় দলের উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহা। ঘরোয়া ক্রিকেটে গোলাপি বলে দিন-রাতের ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। সেই অভিজ্ঞতা দিয়ে দলকে সাহায্য করতে প্রস্তুত ঋদ্ধিমান।
সংবাদসংস্থাকে ঋদ্ধি বলেছেন, এই চ্যালেঞ্জটা তিনি উপভোগ করছেন। একইসঙ্গে বলেছেন, ভারতীয় দলের খেলোয়াড়রা এর আগে গোলাপি বলে কোনও টেস্ট খেলেননি। তাই এটা একটা কঠিন পরীক্ষা হতে চলেছে।
ঋদ্ধি বলেছেন, এটা আমাদের কাছে নতুন একটা চ্যালেঞ্জ। এর আগে আমরা গোলাপি বলে টেস্ট খেলিনি। ঘরোয়া ক্রিকেটে গোলাপি বলের মাল্টি-ডে ম্যাচ খেলেছি।প্রত্যেক খেলাতেই চ্যালেঞ্জ থাকে। দল হিসেবে যত বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে, ততই ভালো খেলবে। আমি নিশ্চিত,এক্ষেত্রেও আমরা ভালো খেলব।
সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গত মঙ্গলবার বিসিসিআই-এর অনুরোধে আসন্ন সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট নৈশালোকে খেলার ব্যাপারে রাজি হয়। বাংলাদেশও এই প্রথম দিন-রাতের টেস্ট খেলবে।
সিএবি-র সুপার লিগের ফাইনালে ২০১৬-তে ভবানীপুর ক্লাব ও মোহনবাগানের মধ্যে গোলাপি বলে দিনরাতের ম্যাচ খেলা হয়েছিল। ওই ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে মহম্মদ সামি ও ঋদ্ধিমানের।
ডে-নাইট টেস্টের তারতম্য সম্পর্কে দলের সহ খেলোয়াড়দের পরামর্শ দিতে পারবেন কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে ঋদ্ধি বলেছেন, সত্যি কথা বলতে কী, আমার সবটা মনে নেই। সামি খুব জোরে বল করছিল। ম্যাচটা মোহনবাগান জিতেছিল। একটা জিনিস মনে আছে, কখনও কখনও বল দেখতে অসুবিধায় পড়তে হয়েছিল।
ওই ম্যাচের প্রথম ইনিংস সামি পাঁচ উইকেট নিয়েছিল। সবমিলিয়ে সাত উইকেট পেয়েছিলেন তিনি।
মনে রাখতে হবে যে, ভারতের পেস বোলিং অ্যাটাক এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা।
ভারত এর আগে দিন-রাতের টেস্ট খেলা নিয়ে খুব একটা আগ্রহী ছিল না। কিন্তু বিসিসিআই সভাপতি হিসেবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কার্যভার গ্রহণ করার পরই এই মনোভাবে পরিবর্তন আসে। নতুন এই চ্যালেঞ্জ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা ভারতীয় দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে রাজি করান তিনি। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও প্রথমে খুব একটা আগ্রহী ছিলেন না। সৌরভ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে রাজি করাতেও সক্ষম হন।
ঋদ্ধিমান বলেছেন, আমরা দিন-রাতের টেস্ট খেলতেই পারি। এর আগে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড খেলেছে। অন্য কয়েকটি দলও খেলেছে। দর্শকদের টানতে দিন-রাতের টেস্ট খেলা হচ্ছে। কাজেই তা খেলার পক্ষে খুবই ভালো ব্যাপার।
২০১৫-তে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে প্রথম দিন-রাতের টেস্ট হয়। এরপর পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, এমনকি জিম্বাবোয়েও এই ধারনা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে। যদিও ভারত এতদিন এ ব্যাপারে খুব একটা আগ্রহী ছিল না।
ঋদ্ধিমান সৌরভের এই উদ্যোগের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি বিশ্বক্রিকেটে দাপট দেখিয়েছিলেন এবং এখন প্রশাসক হিসেবে তাঁর কাছ থেকে একই ধরনের প্রত্যাশা সবার রয়েছে। সবাই তাঁর কাছ থেকে নতুন কিছু আশা করে। এটা সবে শুরু হয়েছে, এতে প্লেয়াররা উপকৃত হলে, তা হবে দারুণ ব্যাপার।