নয়াদিল্লি: হাঁটুর চোট গুরুতর। আর তার জন্যই এবার আইএসএলের (ISL 2024) পুরো মরশুম থেকেই ছিটকে যেতে পারেন সন্দেশ ঝিঙ্গান (Sandesh Jhingan)। এমনকী দেশের জার্সিতেও হয়ত পাওয়া যাবে না তাঁকে আগামী বেশ কয়েক মাস। এশিয়ান কাপে খেলার সময় চোট পেয়েছিলেন তারকা এই ডিফেন্ডার। আইএসএলে এফসি গোয়ার হয়ে খেলতে নামেন সন্দেশ। আগামী জুনে বিশ্বকাপের যোগ্যতা নির্ণায়ক ম্য়াচ ম্য়াচ রয়েছে ভারতের। কুয়েতের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে ভারত আগামী ৬ জুন। সেই ম্য়াচেও পাওয়া যাবে না হয়ত সন্দেশকে।
গত ২৩ জানুয়ারি সিরিয়ার বিরুদ্ধে খেলার সময় চোট পেয়েছিলেন ঝিঙ্গান। সিরিয়ার ফরোয়ার্ড পাবলো সাব্বাগের থেকে বল কেড়ে নেওয়ার লড়াইয়ে ছিলেন ৩০ বছরের ভারতীয় ডিফেন্ডার। সেই পরিস্থিতিতেই বেকায়দায় পড়ে যান সন্দেশ। প্রথমার্ধে আরও কিছুক্ষণ মাঠে থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে আর মাঠে নামতে পারেননি সন্দেশ। এরপর থেকে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলের বাইরেই রয়েছেন তিনি।
গত শনিবার সন্দেশ ঝিঙ্গানের আইএসএল ক্লাব এফসি গোয়ার হয়ে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। সেখানে জানানাে হয়, ''হয়ত আগামী ৩-৬ মাস পর্যন্ত সন্দেশ ঝিঙ্গানকে পাওয়া যাবে না। মাঠের বাইরে থাকতে পারে ওঁ।'' এর আগে ২০১৯ সালে চোট পাওয়ার পর ২০২০ মরশুমে পুরোটাই মাঠের বাইরে ছিলেন সন্দেশ। এরপর আইএসএলে এটিকে মোহনবাগানের হয়ে মাঠে নামেন সন্দেশ। দেশের সেরা প্লেয়ারও হন তিনি। ২০১৪ সালে প্রথম আইএসএলে এমার্জিং প্লেয়ারের তকমা জিতেছিলেন সন্দেশ। সেবার থেকে চারবার রানার্স আপ দলের সদস্য ছিলেন এই ডিফেন্ডার।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন সন্দেশ। তিনি যতটা না আধুনিক সময়ের বল প্লেইং ডিফেন্ডার, তার চেয়ে বেশি সংরক্ষণশীল ‘ওল্ড স্কুল’ ডিফেন্ডার। সাফল্যের কারণ কী? সেই উত্তরে সুনীল ছেত্রীর সতীর্থ জানান, ''আমাকে সফল বলা হয়, কারণ, যে কারণে, ক্লাব আমাকে সই করায়, আমি সেটাই করার চেষ্টা করি। দলের মধ্যে শক্তি আনার ও দলকে সঙ্ঘবদ্ধ করার চেষ্টা করি। ক্লিন শিট রাখতে আমার খুবই ভাল লাগে। এই জন্যই বিভিন্ন ক্লাব আমাকে নিয়েছে। কিন্তু লোকে একজন খেলোয়াড়ের যে গুণটা দেখতে পায় না, তা হল ড্রেসিংরুমে, মাঠের বাইরে তার ভূমিকা। সেটাও বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচিত।''