নয়াদিল্লি: গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে। তার মধ্যেই শনিবার সকলকে চমকে দিয়েছেন প্রাক্তন পাকিস্তানি ক্রিকেট অধিনায়ক শোয়েব মালিক। তৃতীয় বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে, নববধূর সঙ্গে নিজের ছবি পোস্ট করেছেন তিনি। আর তাতেই, আবারও খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন ভারতীয় টেনিস সুন্দরী, শোয়েবের দ্বিতীয় স্ত্রী সানিয়া মির্জা। কয়েক দিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট দেন সানিয়া। তাই প্রশ্ন ওঠে, সানিয়া কি শোয়েবের তৃতীয় বিয়ের কথা জানতেন? তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ কি হয়ে গিয়েছে। এবার সেই নিয়ে সানিয়া এবং তাঁর পরিবারের তরফে প্রতিক্রিয়া সামনে এল। (Sania Mirza Divorce)


পাকিস্তানি অভিনেত্রী সানা জাভেদের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন শোয়েব। তার পর থেকেই সানিয়ার প্রতিক্রিয়া জানতে উৎসুক ছিলেন সকলে। শোয়েব সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বিয়ের ছবি দেওয়ার পরই সানিয়ার পরিবার এবং তাঁর টিম বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলে। বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, 'বরাবর নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে লোকচক্ষুর আড়ালেই রেখেছেন সানিয়া। তবে আজ এটা জানানো জরুরি হয়ে পড়েছে যে, বেশ কয়েক মাস আগেই সানিয়া এবং শোয়েবের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। শোয়েবের আগামী জীবনের জন্য শুভেচ্ছা রইল সানিয়ার'। (Shoaib Malik)


ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'সানিয়ার জীবনের অত্যন্ত স্পর্শকাতর সময় এটি। অনুরাগী এবং শুভাকাঙ্খীদের অনুরোধ, গুঞ্জন-জল্পনা থেকে দূরে থাকুন। সানিয়াকে একান্ত থাকতে দিন'। 'মির্জা পরিবার এবং টিম সানিয়া'র তরফে ওই বিবৃতি জারি করা হয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও এ নিয়ে মুখ খোলেন সানিয়ার বাবা ইমরান মির্জা। তিনি বলেন, "সানিয়া এবং শোয়েবের 'খুলা' হয়ে গিয়েছে।" একতরফা ভাবে স্বামীর থেকে মুসলিম মহিলাদের বিচ্ছেদ গ্রহণের অধিকারকে 'খুলা' বলা হয়। শরিয়ৎ আইনে ‘খুলা’র মাধ্যমে স্বামীর থেকে আলাদা হতে পারেন স্ত্রী। তার জন্য স্বামীকে কিছু টাকা দিতে হয়। সেটি গ্রহণ করে ‘ফারাকতুকি’ বা ‘খালা তুকি’ বলতে হয় স্বামীকে, যার অর্থ ‘যেতে দিলাম তোমাকে’ বা ‘তোমার থেকে আলাদা হলাম’।


আরও পড়ুন: 'Sedin Kuyasha Chilo': দূরত্ব কি ভালবাসার গভীরতা বাড়িয়ে তোলে? একগুচ্ছ প্রশ্নের জবাব দেবে 'সেদিন কুয়াশা ছিল', প্রকাশ্যে টিজার


২০১০ সালে সানিয়া এবং শোয়েব বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের এক পুত্রসন্তানও রয়েছে, ইজা়ন। সানিয়ার সঙ্গেই থাকে সে। একসময় সানিয়া এবং শোয়েব সোশ্যাল মিডিয়ায় পরস্পরকে নিয়ে নিয়মিত পোস্ট দিলেও, এক বছরেরও বেশি সময় আগে তাতে ছেদ পড়েছে। একসময় দু'জনে দুবাইয়ে সংসার পাতলেও, সেখানেও সানিয়ার পাশে শোয়েবকে দেখা যায়নি অনেক দিন। ২০২২ সাল থেকেই সানিয়া এবং শোয়েবের বিচ্ছেদ নিয়ে জল্পনা চলছিল। এতদিনে সিলমোহর পড়ল তাতে।


সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় সানিয়াকে 'আনফলো'ও করেন শোয়েব। তার পরই শনিবার তৃতীয় বিয়ের কথা ঘোষণা করেন শোয়েব। সানা পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। এর আগে, ভারতের হায়দরাবাদের বাসিন্দা আয়েশা সিদ্দিকির সঙ্গেও ডাকযোগে বিয়ে সারেন শোয়েব। সানিয়ার সঙ্গে বিয়ের আগে সেই নিয়ে বিতর্ক বাধে। আয়েশা এবং তাঁর পরিবারের দাবি ছিল, প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদে না গিয়েই সানিয়াকে বিয়ে করছেন শোয়েব। শোয়েব যদিও দাবি করেন, আয়েশাকে চোখে না দেখেই বিয়ে সেরেছিলেন। কিন্তু বিয়ের আগে যে ছবি দেখেছিলেন, পরে মুখোমুখি সাক্ষাৎ হলে বুঝতে পারেন, দুই তরুণী আসলে আলাদা। শেষ পর্যন্ত আয়েশার সঙ্গে বিয়েতে ইতি টেনেই সানিয়াকে বিয়ে করেন শোয়েব। সেই পর্বে সানিয়া এবং তাঁর পরিবারের লোকজন শোয়েবের পাশেই ছিলেন।