কোলাপুর: সন্তোষ ট্রফিতে (Santosh Trophy) বাংলা টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে পৌঁছে গেল মূল পর্বে। গ্রুপ পর্ব অপরাজিত থেকেই সরাসরি মূল পর্বে চলে গেল বাংলা। রবিবার গ্রুপের অন্যতম শক্তিশালী প্রতিপক্ষ মহারাষ্ট্রকে হারিয়ে বাংলা পৌঁছে গিয়েছে সন্তোষ ট্রফির চূড়ান্ত পর্বে।


কোলাপুরের ছত্রপতি শাহু স্টেডিয়ামে স্টিভেন ডায়াসের মহারাষ্ট্রকে ২-১ গোলে হারাল বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের টিম। এই ম্যাচ ড্র করলেই বাংলা শীর্ষে থেকে পৌঁছে যেত মূল পর্বে। কারণ মহারাষ্ট্রের সঙ্গে পয়েন্ট এক হলেও গোল পার্থক্যে তারা এগিয়ে ছিল। তবে বাংলা জেতায় তারাই গ্রুপ শীর্ষে থেকে মূল পর্বে গেল।


ঘরের মাঠে পূর্ণ সমর্থন নিয়েই নেমেছিল মহারাষ্ট্র। ছত্রপতি স্টেডিয়ামের গ্যালারি জুড়ে দর্শকদের চিৎকার। রাজ্যের ফ্ল্যাগ, ফুটবলারদের কাট আউট নিয়েই মাঠে হাজির হয়েছিলেন মহারাষ্ট্র সমর্থকেরা। উন্মাদনা দেখে ফুটবলপ্রেমীরা আপ্লুত। তবে কঠিন চ্যালেঞ্জ সামনে থাকলেও, আত্মবিশ্বাসী ছিলেন বাংলার ছেলেরা। আর তারই ফল পেলেন নরহরি শ্রেষ্ঠরা। বাংলার হয়ে এ দিন গোল করেন সুরজিৎ হাঁসদা এবং দীপক রজক।


খেলার ৮ মিনিটেই এ দিন বাংলাকে এগিয়ে দেন সুরজিৎ হাঁসদা। গোল পরিশোধের লক্ষ্যে এর পর বাংলার বক্সে হানা দেয় মহারাষ্ট্রের ফুটবলাররা। তবে ৩৯ মিনিটে বাঁ-পায়ের দুরন্ত প্লেসিংয়ে ২-০ করেন দীপক রজক। প্রথমার্ধেই জোড়া গোলে এগিয়ে যায় বাংলা। দ্বিতীয়ার্ধেও বেশ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। একটি গোল শোধ করে মহারাষ্ট্র। ১-২ করেন আরিফ শেখ। একটা সময় মহারাষ্ট্রের আক্রমণের ঝাঁঝ বেড়েছিল। তবে বাংলাকে হারাতে পারেনি মহারাষ্ট্র। ৩ পয়েন্ট নিয়েই মাঠে ছাড়েন বাংলার ফুটবলাররা। অপরাজেয় থেকেই মূলপর্বের লড়াইয়ে নামবে বাংলা।


ম্যাচে একবার বিঘ্নও ঘটে। আচমকা বোতল উড়ে পড়তে শুরু করে মাঠে। বেশ কিছুক্ষণ খেলা বন্ধ থাকে। তবে বাংলাকে দমানো যায়নি। এ দিন বাংলার রক্ষণ লড়াকু ফুটবল উপহার দেয়। ম্যাচ জিতলেও রেফারিং নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। বাংলার কোচ বলেন, ‘রেফারি আমাদের বেশ কয়েকটা হলুদ কার্ড দেখাল। আমাদের বিরুদ্ধে জোর করে ফাউল দিয়েছেন। সব কিছু প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে আমরা জিতেছি।’


সোমবারই শহরে ফিরছে বাংলা দল। আপাতত কয়েক দিনের ছুটি। তার পরেই মূল পর্বের অনুশীলনে নেমে পড়বেন নরহরি, দীপকরা। পাশাপাশি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে অন্যান্য গ্রুপগুলি থেকে সন্তোষ ট্রফির চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছে গিয়েছে দিল্লি, কেরল, গোয়া ও মেঘালয়। তাদের সঙ্গেই যোগ দিল বাংলা। পাঁচ ম্যাচ মিলিয়ে যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বে মোট ১৭ গোল করে বাংলা। মাত্র ১টি গোল তারা হজম করেছে।



আরও পড়ুন: আমার টেস্ট দলে তুমি আছো, টিম ইন্ডিয়ায় ব্রাত্য সরফরাজের মন খারাপ কাটাতে বলছেন বাবা