ভুবনেশ্বর: সন্তোষ ট্রফির (Santosh Trophy) মূল পর্বের প্রথম ম্যাচেই আটকে গেল বাংলা। দিল্লির সঙ্গে বাংলার ম্যাচ শেষ হল ২-২ গোলে। ম্যাচের শেষে বাংলার কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য (Biswajit Bhattacharya) অসন্তুষ্ট ক্রীড়াসূচি নিয়ে। বিশেষ করে যেভাবে চড়া রোদের মধ্যে ফুটবলারদের খেলতে হয়েছে, তা নিয়ে সরব বিশ্বজিৎ।
সন্তোষ ট্রফির যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বে দাপট দেখিয়েছিল বাংলা। কিন্তু মূল পর্বের প্রথম ম্যাচেই দিল্লির কাছে তারা আটকে গেল। ম্যাচের ফলে ২-২। বাংলার হয়ে নরহরি শ্রেষ্ঠা জোড়া গোল করেন।
দিল্লির বিরুদ্ধে ম্যাচ ড্রয়ের পর একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন বাংলার কোচ বিশ্বজিৎ। তিনি বলেছেন, ‘এত রোদের মধ্যে কি ভালো ফুটবল খেলা যায়? ভুবনেশ্বরে প্রচণ্ড গরম। আর এই গরমে সকাল ন’টায় খেলা দেওয়া হয়েছে আমাদের।’ সন্তোষ ট্রফির নক আউট পর্ব এবং ফাইনাল ম্যাচ হবে সৌদি আরবে। বাংলার কোচ বলেছেন, ‘সন্তোষ ট্রফির নক আউট ও ফাইনাল হবে সৌদি আরবে, এটা ভাল দিক। ফুটবলারদের সামনে আরও একটা অনুপ্রেরণা থাকবে। ভাল খেলতে পারলে ওখানকার কোনও ক্লাব ওদের ডাকতেও পারে। তবে সূচি নিয়ে একটু ভাবনাচিন্তার দরকার ছিল।’
যোগ্যতা অর্জনকারী পর্বে দাপট দেখিয়েছিল বাংলা। যদিও মূল পর্বের প্রথম ম্যাচই ড্র হল। বিশ্বজিৎ দলের খেলার বিশ্লেষণ করে বলছেন, ‘আমরা অনেক ভুল পাস করেছি। এত ভুল পাস খেললে সমস্যা তো হবেই। ছেলেদের বোঝাতে হবে। পরের ম্যাচ ১৩ তারিখ। সেই সকাল ৯ টায় ম্যাচ। তবে সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা যেমন সূচি করেছে, তাতে তো খেলতেই হবে।’
দিল্লির বিরুদ্ধে ম্যাচে জোড়া গোল করেন নরহরি শ্রেষ্ঠা। কিন্তু রক্ষণের ভুলে জিততে পারেনি বাংলা। ম্যাচের শুরুতে পিছিয়ে পড়েছিল বাংলা। বিরতিতে খেলার ফল ছিল দিল্লির পক্ষে ১-০। দ্বিতীয়ার্ধে নরহরির গোলে সমতা ফেরে। এর পর আবার গোল করে বাংলাকে ২-১ এগিয়ে দেন দলের অধিনায়ক। কিন্তু বেশিক্ষণ লিড ধরে রাখতে পারেনি সুরজিৎ হাঁসদা, বাসুদেব মাণ্ডিরা। ম্যাচের শেষ লগ্নে গোল শোধ করে দেয় দিল্লি। প্রথম ম্যাচ ড্র হওয়ায় কিছুটা চাপে পড়ে গেল বাংলা। সোমবার সার্ভিসেসের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচ বাংলার।