রাজকোট: দীর্ঘ অধ্যাবসায়ের ফল পেয়েছেন। জাতীয় দলে সুযোগ আর অভিষেক ইনিংসেই দুর্দান্ত অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেছেন। জাডেজার (Ravindra Jadeja) সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট না হলে হয়ত শতরানটাও চলে আসত। আর দিনের শেষে ফোনে ভাই মুশিরের থেকেও শুভেচ্ছা পেলেন সরফরাজ (Sarfaraz Khan)। 


সরফরাজ ও মুশির দুজনেই জাতীয় দলের সদস্য। প্রথমজন সদ্য সিনিয়র দলে পা রেখেছেন। দ্বিতীয়জন যুব বিশ্বকাপের ভারতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। বৃহস্পতিবার ৬৬ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলেন সরফরাজ। দিনের শেষে মুশিরের তরফ থেকে যে ফোন এসেছিল সরফরাজের কাছে, সেই কলের ভিডিও রেকর্ড করেছিল বিসিসিআই। ফোন কলে সরফরাজকে বলতে শোনা যায়, "ভাই, কেমন খেললাম। ভাল তো?" অপর প্রান্তে মুশির বলেন, "একদম ভাই। আমি তোমার ব্যাটিং ভীষণ উপভোগ করেছি"। নিজের ইনিংসে ৯টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কা হাঁকান সরফরাজ। তবে মাঝে একবার জো রুটের বলে টপ এজ লেগেছিল। যা উল্লেখ করে মুশির বলেন, " ভাই রুটের বলে যখন টপ এজ লাগল, তখন একটু ঘাবড়ে গিয়েছিলাম।" সরফরাজ নিজের ডেবিউ টুপি মুশিরকে দেখান ও বলেন, "ভাই একদিন তুমিও এই টুপি পাবে। দেশের হয়ে সিনিয়র দলে খেলবে"। সরফরাজ আরও বলেন, " আমি যখনই একটু মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ি, তখনই ভাইয়ের ব্যাটিং দেখি। ওর আর আমার খেলার ধরণ একইরকম। আজ আমার সঙ্গে আমার পরিবারের কিছু মানুষ এখানে মাঠে আছেন, কিছু মানুষ মুম্বইয়ে।"


জাডেজার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট। অনেকেই ভারতীয় অভিজ্ঞ অলরাউন্ডারকেই দুষছেন। তবে ম্যাচ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে এসে সরফরাজ বলেন, "এটা খেলারই অংশ। ক্রিকেটে এমন অনেক মুহূর্ত হয়ে থাকে। কখনও রান আউট হন, কখনও রান পান। আমি দুপুরের খাবারের সময় জাডেজার সঙ্গে কথা বলেছিলাম এবং তিনি আমাকে খেলার সময় তাঁর সঙ্গে কথা বলতে বলেছিলেন। আমি খেলার সময় কথা বলতে পছন্দ করি। আমি তাঁকে বলেছিলাম, আমি যখন ব্যাট করতে যাই, তখন খেলার সময় আমার সঙ্গে কথা বলতে থাকুন। ব্যাটিংয়ের সময় তিনি কথা বলতেন এবং আমাকে অনেক সমর্থন করছেন।"


উল্লেখ্য, সরফরাজের রান আউট দেখে হতাশা ধরে রাখতে পারেননি রোহিত শর্মাও। নিজের টুপিটি ছুড়ে ফেলেন তিনি। এদিকে জাডেজা তাঁর টেস্ট কেরিয়ারের চতুর্থ শতরান পূরণ করেন রাজকোটে।