টোকিও: টোকিও অলিম্পিক্সে বক্সিংয়ে জয় সতীশ কুমারের। পুরুষদের বক্সিংয়ে ৯১ কেজি বিভাগে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেলেন তিনি। সতীশ হারালেন জামাইকার রিকার্ডো ব্রাওনকে। খেলার ফল সতীশের পক্ষে ৪-১। এদিন প্রথম থেকে একটু ডিফেন্সিভ মুডে খেলছিলেন সতীশ। কিন্তু ম্যাচে যত এগােচ্ছিলেন ততই ছন্দ ফিরে পাচ্ছিলেন সতীশ। শেষ পর্যন্ত ম্যাচে জয় পান সতীশ। 


ব্রাওনের খারাপ ফুটওয়ার্কের জন্যই ম্যাচে এত ভাল পারফর্ম করতে পারলেন সতীশ। এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ২ বার ব্রোঞ্জ জিতেছেন সতীশ। ৩২ বছরের এই ভারতীয় বক্সার প্রথম থেকেই নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করছিলেন। কোয়ার্টার ফাইনালে উজবেকিস্তানের প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে খেলতে নামবেন সতীশ। 


২০১৮ সালে কমনওয়েলথ গেমসে রুপো জিতেছিলেন সতীশ। এদিন ডানহাত বেশি সচল রেখেছিলেন ভারতীয় বক্সার। জামাইকান প্রতিদ্বন্দ্বীকে বারবার পাঞ্চ করেন সতীশ। এর আগে পুরুষদের বক্সিংয়ে আশিস কুমার ছিটকে গিয়েছিলেন। তবে অমিত পাঙ্ঘালকে নিয়ে পদকের আশা রয়েছে। এই মুহূর্তে নিজের ক্যাটাগরিতে বিশ্ব ক্রমতালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছেন অমিত। প্রি কোয়র্টার ফাইনালের লড়াইয়ে আগামী ৩১ জুলাই কলম্বিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে খেলতে নামবেন অমিত।


বুধবারই কেরিয়ারের প্রথম অলিম্পিক্সে নেমেই চমক দিচ্ছেন ভারতের মহিলা বক্সার পূজা রানি। মহিলাদের মিডলওয়েট বক্সিংয়ে (৬৯-৭৫ কেজি বিভাগ) আলজিরিয়ার ইচরাক চাইব-কে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেলেন ভারতের বক্সার। ৩০ বছর বয়সী পূজা রানি বয়সে তাঁর চেয়ে ১০ বছরের ছোট প্রতিপক্ষকে কার্যত দাঁড়াতেই দেননি। ম্যাচের শুরু থেকে দাপট দেখিয়ে ৫-০ ব্যবধানে জিতলেন তিনি। দুবারের এশীয় চ্যাম্পিয়ন বক্সার পূজা সুবিধা পেয়ে যান তাঁর প্রতিপক্ষ রিংয়ে ভারসাম্য নিয়ে সমস্যায় পড়ে যেতে। প্রতিপক্ষকে কার্যত কোনও সুযোগই দেননি পূজা।


বুধবার পূজার প্রতিপক্ষ ইচরাকেরও এটা প্রথম অলিম্পিক্স। তবে তিনটি রাউন্ডেই তাঁকে প্রত্যাবর্তনের কোনও সুযোগ দেননি পূজা। তাঁর থেকে দূরত্ব বজায় রেখে কৌশতগতভাবে সবসময়ই এগিয়ে ছিলেন ভারতীয় বক্সার। ইচরাকের বেশিরভাগ পাঞ্চই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। অন্যদিকে পূজা প্রতি আক্রমণ নির্ভর খেলার কৌশল নিয়েছিলেন। রানির অলিম্পিক্স খেলা বেশ নাটকীয়ভাবে। আর্থিক সমস্যার সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে তাঁকে। পাশাপাশি সামলাতে হয়েছে একটি বড়সড় চোট আর একটি দুর্ঘটনা। কাঁধে গুরুতর চোট পেয়েছিলেন রানি। তাঁর করিয়ারই বিপন্ন হয়ে পড়েছিল। পাশাপাশি তাঁর হাত পুড়ে গিয়েছিল একবার। তবে সবরকম প্রতিবন্ধকতাকে হার মানিয়ে টোকিওতে এগিয়ে চলেছেন তিনি।