Saurabh Tiwary Exclusive: প্রখর বুদ্ধি, হারলে দোষারোপ করে না, অধিনায়ক রোহিতকে নিয়ে মুগ্ধ আইপিএলের সতীর্থ

Rohit Sharma ODI Captain: ঝাড়খণ্ডের তারকা অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট খেলেছেন বিরাট কোহলির নেতৃত্বে। পরে রোহিত শর্মার অধীনে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে খেলেছেন। দুই অধিনায়ককে কাছ থেকে দেখেছেন।

Continues below advertisement

কলকাতা: ভারতীয় ক্রিকেটে শোরগোল ফেলে বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli) সরিয়ে তাঁর হাতে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের জন্য জাতীয় দলের নেতৃত্বের ভার তুলে দেওয়া হয়েছে। আইপিএলে তাঁর অধিনায়কত্বে পাঁচ-পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। জাতীয় দলের অধিনায়ক হিসাবেও রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) হাতে ট্রফি দেখতে মুখিয়ে রয়েছেন ভক্ত-সমর্থকেরা।

Continues below advertisement

অধিনায়ক রোহিতকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত সৌরভ তিওয়ারি (Saurabh Tiwary)। ঝাড়খণ্ডের তারকা অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট খেলেছেন বিরাট কোহলির নেতৃত্বে। পরে রোহিত শর্মার অধীনে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে খেলেছেন। দুই অধিনায়ককে কাছ থেকে দেখেছেন। বিজয় হাজারে ট্রফি খেলে সদ্য রাঁচিতে ফিরেছেন সৌরভ। এবিপি লাইভকে মোবাইল ফোনে বলছিলেন, 'রোহিতের ক্রিকেটমস্তিষ্ক প্রখর। গেম রিডিং অসাধারণ। টিম কম্বিনেশন নিয়ে ভাবে। সূক্ষ এমন কিছু পরিবর্তন করে, যা ম্যাচে ফারাক গড়ে দেয়। সাধারণত উইনিং কম্বিনেশন বদলায় না কোনও অধিনায়ক। রোহিত দলের প্রয়োজনে আগের ম্যাচের জয়ী একাদশকে বদলে ফেলে। ভীষণ বিচক্ষণ।' 

এই প্রসঙ্গে একটা ঘটনার কথা উল্লেখ করছেন ঝাড়খণ্ডের বিধ্বংসী ব্যাটার। সৌরভ বলছেন, '২০২০ সালের আইপিএলের কথা। ফাইনালে দিল্লি ক্যাপিটালসের মুখোমুখি আমরা (মুম্বই ইন্ডিয়ান্স)। ফাইনালে আচমকা জয়ন্ত যাদবকে খেলিয়ে দিল রোহিত। তার অগে পর্যন্ত টুর্নামেন্টে প্রায় সব ম্যাচে স্পিনার হিসাবে খেলেছে রাহুল চাহার। কিন্তু ফাইনালে অফস্পিনার জয়ন্তকে আনল রোহিত। সেবারের আইপিএলে ফাইনালের আগে আর একটাই ম্যাচ খেলেছিল জয়ন্ত। আর সেটাও ছিল দিল্লির বিরুদ্ধেই। দিল্লি দলে বাঁহাতি ব্যাটারের আধিপত্যের জন্য এই সিদ্ধান্ত। জয়ন্ত সেই ম্যাচে প্রমাণ করে দিয়েছিল যে, অধিনায়কের সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। আমরা দিল্লিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। এটাই অধিনায়ক রোহিতের বিশেষত্ব।'

সৌরভের মতে, রোহিত ক্রিকেটারদের ক্যাপ্টেন। বলছিলেন, 'রোহিত সব সময় সতীর্থদের সমর্থন করে। উৎসাহ দেয়। দেখবেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্স আইপিএলের নিলাম থেকে বিরাট বড় কোনও তারকাকে কেনে না। রোহিতই দলের সবচেয়ে বড় তারকা। অধিনায়ক হিসাবে ওর সাফল্য হচ্ছে, অনেক ক্রিকেটারকে খেলিয়ে প্রতিষ্ঠিত করে দেয়। সে হার্দিক পাণ্ড্য হোক বা হালের ঈশান কিষাণ। ওর ম্যান ম্যানেজমেন্ট দুর্দান্ত। আমিও প্রথম একাদশের বাইরে বসেছি। কখনও খারাপ অনুভূতি হয়নি। যারা বাদ পড়ে, তাদের সঙ্গে কথা হলে রোহিত। বুঝিয়ে দেয়, কেন ম্যাচে তাকে খেলানো গেল না।' সৌরভ যোগ করলেন, 'সবাইকে স্বাধীনতা দেয়। মাঠে যে যার ইচ্ছে মতো খেলতে পারে। অনেক ক্রিকেটার থাকে যাদের সঙ্গে পরিবার থাকে না। তাদের উপভোগ করতে দেয়। স্বাধীনতা পেলে ক্রিকেটারেরা আরও ভাল খেলে। মাঠের বাইরেও ক্যুইজ, গেট টুগেদার, টিম অ্যাক্টিভিটি চলতেই থাকে। আর তা সবই রোহিতের নেতৃত্বে।'

অধিনায়ক রোহিতের সবচেয়ে বড় গুণ কী? 'ফলাফল যাই হোক না কেন, কারও ওপর দায় চাপায় না। আইপিএল জিতলেও আমরা অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হইনি। ম্যাচ হেরেছি। ও সেই হারের জন্য কাউকে দোষী সাব্যস্ত করেনি। বরং নিজের ওপর সব দায় নেয়। অধিনায়কের এই সমর্থন সকলকে এতটাই উজ্জ্বীবিত করে তোলে যে, গড়পরতা ক্রিকেটারেরাও নিজের সেরাটা ছাপিয়ে গিয়ে খেলে,' বলছিলেন সৌরভ।

 

বিরাট ও রোহিতের নেতৃত্ব দেওয়ার ধরনে তফাত কী? সৌরভ বলছেন, 'দুজনেরই খেলার ধরন আলাদা। কোহলি অনেক বেশি আগ্রাসী। রোহিত শান্ত। অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট খেলেছি বিরাটের নেতৃত্বে। মাঠের বাইরে বিরাটও শান্ত। তবে অনূর্ধ্ব ১৯ পর্যায়েও বিরাট মাঠে একইরকম আগ্রাসী ছিল। রোহিত হয়তো ছেট থেকেই শান্ত হয়ে খেলতে শিখে গিয়েছে।'

আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকায় ২২ গজে নামার আগেই মুখোমুখি মহারণে বিরাট-দ্রাবিড়

ঝাড়খণ্ড দলে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সঙ্গে দীর্ঘদিন খেলেছেন সৌরভ। জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন ৩টি ওয়ান ডে। সেগুলিও ধোনির নেতৃত্বে। ফোন রাখার আগে সৌরভ বললেন, 'অধিনায়ক ধোনি সাদা বলের ক্রিকেটে খুব সফল। রোহিতও অধিনায়ক হিসাবে সফল হবে।'

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola