একটি সংবাদমাধ্যমে হরভজন বলেছেন, ‘‘জীবনে ওই প্রথম দেখেছিলাম, সচিন আনন্দে নাচছে। চারপাশে কে আছে না আছে, তা নিয়ে মাথাই ঘামাচ্ছে না। সবার সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠেছিল সচিন। ওই ঘটনা জীবনে ভুলব না।’’
আর তিনি নিজে? কী করেছিলেন স্বপ্নের সেই রাতে? হরভজন বলেছেন, ‘‘মনে আছে, সেই রাতে আমি বিশ্বকাপ জয়ের পদকটা নিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। যখন ঘুম ভাঙল, তখন দেখলাম পদকটা আমার সঙ্গে রয়েছে। অনুভূতিটা বলে বোঝানো যায় না।’’ হরভজন যোগ করেছেন, ‘‘আমরা সবাই মিলে এই স্বপ্নটা দেখে এসেছি। সেই স্বপ্নটা সে দিন সত্যি হয়েছিল। অবিশ্বাস্য একটা মুহূর্ত ছিল বিশ্বকাপ জয়। এখনও গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে সে দিনের কথা ভাবলে।’’ ভারতীয় অফস্পিনার এ-ও বলেন, ‘‘বিশ্বকাপ জয়টা আমাদের কাছে বিশেষ একটা মুহূর্ত ছিল। সবার সামনে বোধ হয় সেই প্রথম আমি কেঁদেছিলাম। তখন কী করব, বুঝতে পারছিলাম না।’’
কপিল দেবের নেতৃত্বে ১৯৮৩ সালে বিশ্বকাপ জয়ের পরে আবার ধোনির নেতৃত্বে ২০১১ সালের ২ এপ্রিল ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। এর আগে ভারতের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার অভিজ্ঞতা হরভজনের থাকলেও সচিন কোনও দিন বিশ্বসেরার ট্রফি হাতে তুলতে পারেননি তার আগে। ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হারানোর পরে সচিনকে কাঁধে নিয়ে ওয়াংখেড়ে ঘুরেছিলেন কোহলিরা।