কলকাতা: এক বছরের চুক্তিতে এসসি ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিলেন অভিজ্ঞ গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্য। তিনি এবারের আইএসএল-এ লাল-হলুদ শিবিরের হয়ে খেলবেন। এই অভিজ্ঞ গোলকিপারকে পেয়ে যাওয়ায় ইস্টবেঙ্গলের দল বেশ শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। 


ইনভেস্টরের সঙ্গে ক্লাবকর্তাদের মতবিরোধের জেরে এবারের আইএসএল-এ ইস্টবেঙ্গলের যোগ দেওয়াই কিছুদিন আগে পর্যন্ত অনিশ্চিত ছিল। চুক্তিপত্রে সই না করার বিষয়ে অনড় ছিলেন ইস্টবেঙ্গল কর্মকর্তারা। পাল্টা ইনভেস্টর সংস্থাও বলে, চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে সই না হলে আর বিনিয়োগ করা হবে না। এই জটিলতায় লাল-হলুদের দলগঠন ক্রমশঃ পিছিয়ে যেতে থাকে। শেষপর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে দু’পক্ষের সমঝোতা হয়। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, আইএসএল-এ খেলবে ইস্টবেঙ্গল। এরপর দলগঠনে ঝাঁপান এসসি ইস্টবেঙ্গলের ম্যানেজমেন্টের সদস্যরা। স্বল্পসময়ের মধ্যেই তাঁরা শক্তিশালী দল গড়ার চেষ্টা করছেন। অরিন্দম নিঃসন্দেহে ভাল রিক্রুট।


৩২ বছর বয়সি অরিন্দমের আই লিগ ও আইএসএল-এ খেলার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি আইএসএল-এ ‘গোল্ডেন গ্লাভস অ্যাওয়ার্ড’-ও জিতেছেন। ফলে এই গোলকিপারের অভিজ্ঞতা এসসি ইস্টবেঙ্গলের কাজে লাগবে।


লাল-হলুদ শিবিরে যোগ দেওয়ার পর অরিন্দম বলেছেন, ‘এখানে আসতে পেরে ভাল লাগছে। মরসুম শুরু হওয়ার জন্য আর অপেক্ষা করতে পারছি না। এসসি ইস্টবেঙ্গলের হয়ে যত বেশি সম্ভব ম্যাচ জিততে চাই। যত বেশি ম্যাচে সম্ভব গোল না খাওয়াই লক্ষ্য। ড্রেসিংরুংমে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে রাখতে চাই। এভাবেই ট্রফি জেতা যায়। এই দলেও আমি সেটাই করতে চাই।’


অরিন্দম কোন দলে যোগ দেবেন, সেটা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। তাঁকে নেওয়ার দৌড়ে লাল-হলুদ ছাড়াও ছিল কেরালা ব্লাস্টার্স ও মুম্বই সিটি এফসি। শেষপর্যন্ত অবশ্য কলকাতা না ছাড়ারই সিদ্ধান্ত নিলেন এই গোলকিপার। এ বিষয়ে তিনি জানিয়েছেন, ‘আমার বাবা, ঠাকুর্দা ইস্টবেঙ্গল সমর্থক। আমি ১৬ বছরের কেরিয়ারে কোনওদিন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলিনি। তাই এবার সুযোগ আসায় সেটা ছাড়তে চাইনি। সবাই এই ক্লাবের ঐতিহ্যের কথা জানি। দলকে সাফল্য এনে দেওয়ার চেষ্টা করব।’