কলকাতা: লগ্নিকারীদের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে জট তৈরি হওয়ায় শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের আইএসএল (ISL) ভবিষ্যৎ ঝুলে ছিল। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যস্থতায় সেই জট কাটে। তার পরেও আসন্ন মরসুমের জন্য ইস্টবেঙ্গল কতটা শক্তিশালী দল গড়তে পারবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। বেশিরভাগ নামী ফুটবলারই অন্যান্য দলে যোগ দেওয়ায় কাদের পাওয়া যাবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল সংশয়।


তবে দলগঠনে শেষ বেলায় আসরে নেমেও ঘর মোটামুটি গুছিয়ে ফেলল এসসি ইস্টবেঙ্গল (SC East Bengal)। ট্রান্সফার উইন্ডোর শেষ দিনেও বেশ কয়েকজন ভারতীয় ফুটবলারকে সই করাল লাল-হলুদ শিবির। শেষ মুহূর্তে আদিল খান (Adil Khan), অমরজিৎ সিংহ ( Amarjit Singh), রোমিও ফার্নান্ডেজদের (Romeo Fernandez) দলে নিল এসসি ইস্টবেঙ্গল।


গত বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে এই মরসুমে লাল-হলুদের আইএসএল (ISL) খেলার জট কাটে। দীর্ঘদিনের জট কাটাতে গত বুধবার নবান্নে শ্রী সিমেন্ট এবং ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। ট্রান্সফার উইন্ডো শেষ হওয়ার ৬ দিন আগে দলগঠনের কাজ শুরু করে বিনিয়োগকারী সংস্থা।


আদিল খান এর আগে মোহনবাগানের জার্সিতে কলকাতায় খেলে গিয়েছেন। তাঁর অন্তর্ভুক্তি লাল হলুদকে নিঃসন্দেহে স্বস্তি দেবে। সেসার একাডেমি থেকে বেড়ে ওঠা আদিল দেশের সমস্ত বড় ক্লাবেই খেলেছেন। স্পোর্টিং ডায়নামোজ, লোনস্টার কাশ্মীর, ডেম্পো, চার্চিল ব্রাদার্স, পুণে সিটি, হায়দরাবাদ এফসি, এফসি গোয়া - আই লিগ এবং আইএসএলে খেলে ফেলেছেন প্রায় সমস্ত নামী ক্লাবের হয়ে। হায়দরাবাদ এফসি থেকে এবার লোনে যোগ দিলেন লাল হলুদে।


সবুজ মেরুন জার্সিতে ৭টি ম্য়াচ খেলেছিলেন আদিল। তারপর আইএসএল খেলতে আদিল পাড়ি দেন দিল্লি ডায়নামোজে। দীর্ঘ ৭ বছর পরে আবার কলকাতায় ফিরলেন। মোহনবাগানের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে।


গোলকিপার অরিন্দম ভট্টাচার্যকে (Arindam Bhattacharya) পাওয়ারও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে লাল-হলুদ শিবির। বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তারা আশাবাদী, গোলকিপারকে সই করাতে পারবেন তাঁরা। কয়েকদিনের মধ্যেই ফুটবলারদের চূড়ান্ত তালিকা পাওয়া যাবে।