নয়াদিল্লি: ২০০৮ সালে ভারতের অস্ট্রেলিয়া সফরে সিডনি টেস্টে একের পর ভুল সিদ্ধান্তের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রাক্তন আম্পায়ার স্টিভ বাকনারকে তীব্র আক্রমণ করলেন ইরফান পঠান। তাঁর দাবি, বাকনারের একাধিক ভুল সিদ্ধান্তের জন্যই সেই ম্যাচ হারতে হয় ভারতীয় দলকে।

একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ক্রিকেট বিষয়ক অনুষ্ঠানে ইরফান বলেছেন, ‘আপনি যতই ভুল স্বীকার করুন না কেন, যা হয়ে গিয়েছে, সেটি তো এখন আর বদলাবে না। আমরা টেস্ট ম্যাচ হেরে গিয়েছি। আমার মনে আছে, আমি প্রথম টেস্ট খেলেছিলাম অস্ট্রেলিয়ায়। ২০০৩ সালে অ্যাডিলেডে আমার অভিষেক হয়। আমরা ২১ বছর পরে অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট ম্যাচ জিতি। তারপর শুধু আম্পায়ারের ভুলের জন্য একটি টেস্ট ম্যাচে হেরে যাই। এখন সেই আম্পায়ার যা-ই বলুন না কেন, কিছুই হবে না।’

ইরফান আরও বলেছেন, ‘ক্রিকেটার হিসেবে আমরা আম্পায়ারের খারাপ সিদ্ধান্ত দেখে অভ্যস্ত। কখনও বোলিং করার সময়, আবার কখনও ব্যাটিং করার সময় খারাপ সিদ্ধান্ত দেখেছি। তাতে আমরা হতাশ হই, তারপর সেটা ভুলে যাই। কিন্তু সিডনিতে সেই টেস্ট ম্যাচে একটি নয়, সাতটি ভুল সিদ্ধান্তের জন্য আমাদের হারতে হয়। আমার মনে আছে, অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস যখন ব্যাটিং করছিল, ও তিনবার প্রায় আউট হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আম্পায়ার কোনওবারই আউট দেননি।’

সম্প্রতি বাকনার স্বীকার করেছেন, ২০০৮ সালে সিডনিতে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ম্যাচে তিনি ভুল করেছিলেন। ভারত ১২২ রানে সেই টেস্ট হেরে যায়। বাকনার সাতটি ভুল সিদ্ধান্ত নেন। তার মধ্যে ভারতের জন্য সবচেয়ে খারাপ হয়ে যায় সাইমন্ডস ৩০ রানে ব্যাটিং করার সময় তাঁকে আউট না দেওয়া। সাইমন্ডস সেই ইনিংসে ১৬২ রান করেন। এর ফলে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ জয়ের পথে এগিয়ে যায়।

সেই ম্যাচে হরভজন সিংহের সঙ্গে সাইমন্ডসের বচসা ‘মাঙ্কিগেট’ নামে কুখ্যাত। তবে তার চেয়েও আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের কথাই প্রায় ১২ বছর পরেও ইরফানের মনে আছে। তিনি বলেছেন, ‘সাইমন্ডসই ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছিল। আমরা ১২২ রানে হেরে গিয়েছিলাম। সাইমন্ডসের বিরুদ্ধে একটি সিদ্ধান্তও যদি ঠিক হত, তাহলে আমরা সহজেই ম্যাচ জিততাম। এই ঘটনা শুধু হতাশার ছিল না, আমি সেই প্রথমবার ভারতীয় ক্রিকেটারদের রেগে যেতে দেখেছিলাম। সমর্থকদের একটি কথাই মনে হচ্ছিল, আম্পায়াররা ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। ক্রিকেটার হিসেবে আমরা অবশ্যই সে কথা ভাবতে পারি না। আমাদের ভাবতে হবে, এরকম হয়, এসব ভুলে এগিয়ে যেতে হবে। কিন্তু সাতটি ভুল? মজা করা হচ্ছে? এই ঘটনা আমাদের কাছে অবিশ্বাস্য ছিল। মেনে নিতে পারছিলাম না।’