নয়াদিল্লি: তালিবানের দখলে আফগানিস্তান। দেশটির বর্তমান পরিস্থিতি ভয়াবহ। বিশেষ করে মহিলাদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। তালিবানের জমানায় এর আগেও দেখা গিয়েছিল, মহিলাদের কোনওরকম অধিকার বা স্বাধীনতা নেই। মহিলাদের উপর যথেচ্ছ অত্যাচার হত। দু’দশক পর ফের সেই বিভীষিকাময় দিন ফিরে আসতে চলেছে। মহিলাদের উপর অত্যাচার শুরু হয়ে গিয়েছে।


মাঝে কয়েক বছর আফগানিস্তানে তালিবান কোণঠাসা হওয়ার পর মহিলাদের অবস্থা কিছুটা ভাল হয়েছিল। স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছিলেন আফগান মহিলারা। মেয়েদের পড়াশোনা, খেলা শুরু হয়েছিল। ২০১২ থেকে আফগানিস্তানে মহিলাদের ফুটবলও শুরু হয়। সেই সময় আফগানিস্তানে গিয়েছিলেন শাজি প্রভাকরণ। তিনি এখন আফগানিস্তানের মহিলা ফুটবলারদের নিয়ে উদ্বিগ্ন। দেশটির ভবিষ্যৎ কী হবে, সেটাই বুঝতে পারছেন না তিনি। ফলে উদ্বেগ বাড়ছে।


একান্ত সাক্ষাৎকারে ফিফা দক্ষিণ-মধ্য এশিয়ার প্রাক্তন ডেভেলপমেন্ট অফিসার এবং বর্তমানে দিল্লি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও দিল্লি ইউনাইটেড স্পোর্টস ক্লাবের ডিরেক্টর প্রভাকরণ জানিয়েছেন, ‘আমার কাছে আফগানিস্তান থেকে ফোন আসছে। সবাই আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। কী হবে, সেটা কেউই বুঝতে পারছেন না। অতীতে দেখা গিয়েছে, তালিবানের আমলে মেয়েদের শিক্ষা, খেলা সহ কোনওরকম অধিকার থাকে না। এবারও সেটাই হতে চলেছে বলে সবার আশঙ্কা। ফলে মেয়েদের ফুটবল খেলা তো দূর, ওরা বাইরে বেরোতে পারবে কি না, সেটাই সন্দেহ। মেয়েদের কোনওরকম অধিকার থাকবে না বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।’


আফগানিস্তানে গিয়ে মহিলাদের ফুটবল নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা কী? প্রভাকরণ জানিয়েছেন, ‘আফগানিস্তানের মেয়েদের মধ্যে বেশ উৎসাহ দেখেছিলাম। অনেক মেয়েই খেলা শুরু করেছিল। প্রথমবার মেয়েদের লিগও শুরু হয়। আফগানিস্তানের মেয়েদের ফুটবল দল দিল্লিতে সুব্রত কাপেও খেলতে এসেছিল। কিন্তু ফের তালিবানের দখলে আফগানিস্তান চলে যাওয়ায় সবটাই অনিশ্চিত হয়ে গেল।’


প্রভাকরণ আরও জানিয়েছেন, ‘আমি আফগানিস্তানের মহিলা ফুটবলারদের পরিস্থিতির বিষয়ে বিদেশমন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলির সরকার ওদের উদ্ধার করে আনতে না পারলে হবে না। কেউ নিজের দেশের বদনাম করতে চায় না। ফলে আফগানিস্তানের মহিলা ফুটবলারদের পক্ষে প্রকাশ্যে নিজেদের বর্তমান অবস্থার বিষয়ে কিছু বলা কঠিন। আন্তর্জাতিক মহলের পদক্ষেপ দরকার।’