ঢাকা: মাঠে অভব্য আচরণ করায় এবার বড়সড় শাস্তির মুখে পড়তে চলেছেন শাকিব আল হাসান। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে তাঁকে চার ম্যাচ নির্বাসিত করা হতে পারে। সূত্রের খবর, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের আম্পায়ারদের কমিটি শাকিবের চার ম্যাচের নির্বাসনের সুপারিশ করেছে। তবে শাকিবের ক্লাব মহমেডান স্পোর্টিংয়ের কর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কাছে দরবার করবেন। জানাবেন, কেন শাকিবের মতো একজন ক্রিকেটার মেজাজ হারাতে কার্যত বাধ্য হয়েছিলেন।


ঘটনাটি শুক্রবারের। বেনজির বিতর্কে জড়িয়েছিলেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পছন্দ না হওয়ায় প্রথমে লাথি মেরে স্টাম্প ভেঙে দিয়েছিলেন শাকিব। পরে আবার মেজাজ হারিয়ে উইকেটই উপড়ে ফেলেন। প্রতিপক্ষ কোচের সঙ্গে কার্যত হাতাহাতি, আম্পায়ারের সঙ্গে তর্ক, কিছুই বাদ যায়নি। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ক্ষমা চান শাকিব।


শুক্রবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে তাঁর উগ্র আচরণের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছিল। তীব্র সমালোচনায় মুখর নেটিজেনরা। অনেকেই তাঁর শাস্তির দাবি করেছিলেন। ঠিক কী হয়েছিল শুক্রবার? ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মহমেডান স্পোর্টিং বনাম আবাহনীর মধ্যে ম্যাচ চলছিল। পঞ্চম ওভারে বল করছিলেন মহমেডানের শাকিব। ব্যাট করছিলেন আবাহনীর মুসফিকুর রহমান। শাকিবের একটি বল মুসফিকুরের প্যাডে লাগে। শাকিবরা এলবিডব্লিউয়ের আবেদন জানালে আম্পায়ার সেটা নাকচ করেন। তখনই মেজাজ হারিয়ে নন স্ট্রাইকিং জোনের স্টাম্পে লাথি মারেন শাকিব। তারপর আম্পায়ারের সঙ্গে তাঁকে উত্তেজিত হয়ে তর্ক করতে দেখা যায়। এই ঘটনা নিয়ে জলঘোলা চলার ফাঁকেই তিনি আরও একটি বিতর্কে জড়ান। বৃষ্টির জন্য আম্পায়ার খেলা বন্ধ করে দিলে ফের ক্ষোভ উগড়ে দেন শাকিব। তখন ষষ্ঠ ওভারের পাঁচ বল হয়েছে। কিন্তু আম্পায়ারের খেলা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি মহমেডান অধিনায়কের। ক্ষিপ্ত শাকিব মিড অন থেকে দৌড়ে এসে তিনটি স্টাম্প তুলে নিয়ে আছাড় মারেন মাটিতে!




এরপর ড্রেসিংরুমে ফেরার সময়ে আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজনের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ান তিনি। প্রায় হাতাহাতি হয়ে যায় দুজনের। জানা গিয়েছে, আবাহনীর সমর্থকেরা শাকিবকে কোনও খারাপ মন্তব্য করায়, শাকিবও হাত নেড়ে ইঙ্গিতে উত্তর দেন। সুজন যা দেখে ভেবেছিলেন, তাঁকে ইঙ্গিত করছেন শাকিব। তিনিও পাল্টা তেড়ে যান। শুক্রবার তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ক্ষমা চান। লেখেন, 'দল, ম্যানেজমেন্ট, টুর্নামেন্টের আয়োজক, সকলের কাছে ক্ষমা চাইছি। আশা করছি ভবিষ্যতে এরকম আচরণ আর কখনও করব না।'