নয়াদিল্লি: দীনেশ কার্তিকের শেষ বলে ছক্কায় ভেস্তে গিয়েছে বাংলাদেশের ভারতকে হারিয়ে নিদাহাস টি ২০ ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ের স্বপ্ন। বাংলাদেশের এই স্বপ্নভঙ্গের দোসর হয়েছে প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে কাচের দরজা ভেঙে ফেলা সংক্রান্ত বিতর্ক। এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান অনুযায়ী, ওই দরজা ভাঙার জন্য দায়ী বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কাকে হারানোর পর জয়ের উত্সবের সময় ড্রেসিংরুমের দরজা ভেঙে ফেলার জন্য বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। শ্রীলঙ্কার একটি সংবাদপত্র দ্য আইল্যান্ড-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই কাজের পিছনে রয়েছেন সাকিব।
প্রেমদাসায় টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার গ্রুপ লিগের দ্বিতীয় ম্যাচটি কার্যত সেমিফাইনাল হয়ে উঠেছিল। ওই ম্যাচ যারা জিতবে, তারাই ফাইনালে যাবে-এই অবস্থায় মাঠে উত্তেজনার পারদ ছিল তুঙ্গে। ম্যাচের শেষ ওভারে মাহমুদুল্লার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ভর করে জয়ী হয় বাংলাদেশ। এরপর বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমের কাঁচের দরজা ভাঙা অবস্থায় দেখা যায়। ঘটনাটি ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রডকে জানানো হয়।
সিসিটিভি-তে স্পষ্ট কোনও ছবি ধরা পড়েনি। এ জন্য ম্যাচ রেফারি ড্রেসিংরুমের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। এক ক্যাটারার জানান, এর পিছনে রয়েছেন সাকিব। প্রত্যক্ষদর্শী ওই ক্যাটারার ব্রডকে জানান যে, বাংলাদেশের অধিনায়ক জোর করে দরজায় ধাক্কা দেওয়ায় তা ভেঙে যায়। সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, দরজাটি বসাতে খরচ হয়েছিল ১,৪৭,০০০ টাকা।
ড্রেসিংরুমে এই ঘটনার আগে সাকিব চতুর্থ আম্পায়ারের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। শেষ ওভারে মাঠের আম্পায়ার শ্রীলঙ্কার বোলারের একটি বলকে নো না ডাকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন সাকিব। এমনকি তিনি ম্যাচ ছেড়ে দেওয়ার কথাও ভেবেছিলেন। দলের দুই ব্যাটসম্যানকে মাঠ ছাড়তে বলেন তিনি।
পরে বাংলাদেশের অধিনায়কের ২৫ শতাংশ জরিমানা হয় এবং একটি ডেমেরিট পয়েন্টও জোটে তাঁর।
বাংলাদেশের রিজার্ভ বেঞ্চের খেলোয়াড় নুরুল হাসানও জল নিয়ে যাওয়ার সময় মাঠে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক থিসারা পেরেরার সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। তাঁরও একই শাস্তি হয়।