কলকাতা :  বধূ নির্যাতন মামলায় ভারতীয় ক্রিকেটার মহম্মদ সামির বিরুদ্ধে গতকাল সোমবার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আলিপুর আদালত। তাঁকে আদালতে আত্মসমর্পণের জন্য ১৫ দিন সময় ধার্য করছে আদালত। পরোয়ানা জারি হওয়ার পর সামির স্ত্রী হাসিন জাহান বিচার বিভাগকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সামি নিজেকে ‘ক্ষমতাশালী’ মনে করেন।

হাসিন বলেছেন, ‘বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। এক বছরের বেশি সময় ধরে আমি বিচারের জন্য লড়াই করছি। সবাই জানেন, সামি নিজেকে বড় ক্রিকেটার ও   ক্ষমতাশালী মনে করেন।

সামি ও তাঁর দাদার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ওই পরোয়ানা জারি করেছে।

চলতি বছরের এপ্রিলে উত্তরপ্রদেশের আমরোহায় শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ঝামেলা করার অভিযোগে পুলিশ হাসিনকে হেফাজতে নিয়েছিল। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে ভয় দেখানোর অভিযোগ করে হাসিন বলেছেন, ‘আমি যদি পশ্চিমবঙ্গের না হতাম, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না হতেন, তাহলে আমি এখানে নিরাপদে থাকতে পারতাম না। আমরোহা পুলিশ আমাকে ও আমার মেয়েকে অপদস্থ করার চেষ্টা করছিল’।

হাসিন গত বছর কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। স্বামীর বিরুদ্ধে ম্যাচ-ফিক্সিং, ব্যাভিচার ও গার্হস্থ্য নির্যাতনের অভিযোগ তুলে প্রচারের আলোয় উঠে এসেছিলেন হাসিন। এরপর তাঁর লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সামি ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে যাদবপুর থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮ এ (বধূ নির্যাতন), ৩০৭ (হত্যার চেষ্টা), ৩২৩ (ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত), ৩৭৬ (ধর্ষণ) ৫০৬ (হুমকি) ধারায় এফআইআর দায়ের হয়।

হাসিনের ওই অভিযোগের পর বিসিসিআই সামির চুক্তি স্থগিত রেখেছিল। যদিও সামি হাসিনের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন। হাসিন আরও অভিযোগ করেছিলেন যে, ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্য সামি এক পাক মহিলার কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন। যদিও পরে সামিকে এই অভিযোগ নিয়ে ক্লিনচিট দেয় বিসিসিআই।