শাস্ত্রী কোচ নিযুক্ত হওয়ার পরই তাঁর পছন্দের ভরতকে বোলিং কোচ হিসেবে চাইছিলেন। শাস্ত্রীকে বোর্ডের যে ক্রিকেট অ্যাডভাইসরি কমিটি (সিএসি) কোচ হিসেবে বেছে নিয়েছে সেই কমিটিই বোলিং কোচ হিসেবে জাহির খানের নাম সুপারিশ করেছিল। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, সচিন তেন্ডুলকর ও ভিভিএস লক্ষণকে নিয়ে গঠিত কমিটি বিদেশ সফরের সময় রাহুল দ্রাবিড়কে ব্যাটিং পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল।
কিন্তু কোচ নির্বাচিত হওয়ার পরই এক সময়ের সতীর্থ ৫৪ বছরের ভরতকে বোলিং কোচ করার পক্ষে সওয়াল করেন। বোর্ডও তাঁর দাবি মেনে নিয়েছে। শাস্ত্রী যখন ভারতের টিম ডিরেক্টর ছিলেন তখনও বোলিং কোচের দায়িত্ব পেয়েছিলেন ভরত।
১৯৮৬-তে ভারতের হয়ে অভিষেক ঘটেছিল ভরতের। মাত্র দুটি টেস্ট ও চারটি ওয়ান ডে খেলেই থমকে গিয়েছিল তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ার। ছয় ম্যাচে তাঁর রয়েছে মাত্র ৫ উইকেট।
এদিন শাস্ত্রীর সঙ্গে বোর্ডের প্রশাসকদের কমিটি (সিওএ)-র বৈঠকের পর ভরতকে দু বছরের মেয়াদে নিয়োগের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। বৈঠকে হাজির ছিলেন বোর্ডের কার্যনির্বাহী সভাপতি সি কে খন্না এবং সচিব অমিতাভ চৌধুরী। বোর্ডের ঘোষণার পর শাস্ত্রী বলেছেন, তাঁর মূল কোচিং টিম কেমন হবে, তা তাঁর কাছে পরিষ্কার।
ভরত অরুণকে কোচ ঘোষণা করে আগের ঘোষণা থেকে ভোলবদল করল বোর্ড। এর আগে বোর্ড বোলিং কোচ হিসেবে জাহিরের নাম বলেছিল। পরে আবার ব্যাখ্যা দিয়ে বোর্ড জানিয়েছিল যে, বিদেশ সফরের জন্যই জাহিরের নিয়োগের কথা বলা হয়েছিল।
এদিনও জাহির ও দ্রাবিড়কে নিয়ে ধোঁয়াশাই বজায় রাখল বোর্ড।
এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে শাস্ত্রীর কৌশলী জবাব, তাঁদের সময় পাওয়ার ওপরই বিষয়টি নির্ভর করছে।
তাঁকে কোচ হিসেবে বেছে নেওয়ায় সৌরভদের কমিটিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শাস্ত্রী।