নটিংহ্যাম: তাঁর বিশ্বকাপ সফর শেষ হয়ে যায়নি। তিনি আশাবাদী, চোট সারিয়ে শীঘ্রই প্রথম একাদশে ফিরবেন। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের ২৪ ঘণ্টা আগে উর্দু কবি ডঃ রাহাত ইন্দোরির শায়েরি শুনিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট প্রেমীদের সেই বার্তাই দিলেন তারকা ওপেনার শিখর ধবন।
রবিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাটিং করার সময় বাঁ হাতের বুড়ো আঙুলে চোট পান শিখর। পর্যবেক্ষকরা জানান, হাড়ে চিড় ধরেছে। সারতে সময় লাগবে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল, বিশ্বকাপ থেকেই ধবনের একেবারে ছুটি হয়ে গেল। তবে সেটা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। বিসিসিআই জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ম্যাচ না খেললেও আপাতত দলের সঙ্গেই থাকবেন শিখর ধবন। তাঁকে এখনই দেশে পাঠানো হচ্ছে না। যদিও তাঁর পরিবর্ত হিসেবে আবার তরুণ ক্রিকেটার ঋষভ পন্থকে ইংল্যান্ড উড়িয়ে আনা হয়েছে। তবে কোনও ভাবেই হাল ছাড়ছেন না শিখর। ওভাল ম্যাচের নায়ক শায়েরির আধারে বলতে চাইলেন, “ডানা কেটে দিলেও আমাদের উড়ান থেমে যায় না। আমরা উড়ি সাহসে।”
ধবনের এই পরাক্রম মনে করিয়ে দিচ্ছে ১৯৮৯ সালে ভারতের পাকিস্তান সফরের কথা। সেবারই প্রথম ১৬ বছরের বিস্ময়বালককে প্রথম দেখেছিল ক্রিকেট বিশ্ব। ওয়াসিম আক্রাম, ওয়াকার ইউনিস, ইমরান খানদের বিরুদ্ধে কীভাবে মাথা তুলে দাঁড়াতে হয়, দেখিয়ে দিয়েছিল ছোট্ট সচিন। ওয়াকারের বাউন্সারে ফেটে গিয়েছিল মুখ। রক্তাক্ত হয়েও মাঠ ছাড়েননি সচিন। নন স্ট্রাইকে দাঁড়িয়ে থাকা নভজ্যোৎ সিংহ সিধুকে বলেছিলেন, ‘ম্যায় খেলেগা’ (আমি খেলব)। এই নাছোড়বান্দা মানসিকতা দেখালেন শিখর ধবনও।