ইসলামাবাদ: ২০০৩-র বিশ্বকাপের ম্যাচে ভারতের কাছে পর্যুদস্ত হয়েছিল পাকিস্তান। সেই পরাজয়ের ‘ গোপন বিষয়’ ফাঁস করলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার শোয়েব আখতার। ২০০৩-র ১ মার্চ সেঞ্চুরিয়নে গ্রুপ পর্বের ওই ম্যাচে ভারতের কাছে ছয় উইকেটে হেরে গিয়েছিল পাকিস্তান। ২৭৪ রান তাড়া করতে নেমে সচিন তেন্ডুলকরের দুরন্ত ৯৪ রানের ইনিংসে ভর পরে চার ওভারের বেশি বাকি থাকতেই ভারত জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পোস্ট করা ভিডিওতে আখতার জানিয়েছেন, কীভাবে তাঁর ফিটনেস সংক্রান্ত সমস্যা ও ওয়াকার ইউনিসের দুর্বল নেতৃত্ব বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের প্রথম জয়ের স্বপ্ন ভেস্তে দিয়েছিল।
আখতার বলেছেন, আমার কেরিয়ারের সবচেয়ে হতাশাজনক ম্যাচ ছিল ২০০৩-এর বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ। দুর্দান্ত বোলিং লাইন আপ নিয়েও আমরা ২৭৪ রানের লক্ষ্য ডিফেন্ড করতে পারিনি।
রওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস জানিয়েছেন যে, ম্যাচের আগের দিন রাতে তিনি বাম হাঁটুতে ৪-৫ টি ইঞ্জেকশন নিয়েছিলাম। এরফলে ওই জায়গাটি অসাড় হয়ে গিয়েছিল। ইঞ্জেকশনগুলি নেওয়ার ফলে বাম হাঁটুতে জল জমে গিয়েছিল। সেখানে অনুভূতি ছিল না।
আখতার বলেছেন, আমাদের ইনিংস শেষ হওয়ার পর সহ খেলোয়াড়দের বলেছিলাম যে, আমরা সম্ভবত ৩০-৪০ রান কম করেছি। তখন দলের সব খেলোয়াড়ই ধমক দিয়ে আমায় বলে ২৭৩ যদি যথেষ্ট না হয়, তাহলে কত। ওরা বলেছিল, আমরা ভারতকে অলআউট করে দিতে পারব। কিন্তু আমি জানতাম, পিচটা ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো এবং দ্বিতীয় ইনিংসেও তেমনই থাকবে। যখন বোলিং করতে শুরু করলাম তখন দেখলাম যে, আমার বাম হাঁটু অবশ হয়ে গিয়েছে। ফলে আমি ঠিকমতো বোলিং রানআপে দৌড়তে করতে পারছিলাম না। এজন্য ঠিকমতো বোলিংও করতে পারছিলাম না। ভারতের দুই ওপেনার সচিন তেন্ডুলকর ও বীরেন্দ্র সহবাগ দারুণভাবে শুরু করেছিল। সচিন আমার বলে দারুণ খেলছিল। আর পয়েন্টের ওপর দিয়ে একটা ছয়ও মেরেছিল। বুঝতে পারছিলাম না কীভাবে বোলিং করব এবং উইকেট নেব। দুর্ভাগ্যজনকভাবে অধিনায়ক আমাকে আক্রমণ থেকে সরিয়ে নেয়। পরের দিকে আমার ফিরিয়ে আনে।তখন আমি দ্রুত ও শর্ট বল করছিলাম। শর্ট পিচ ডেলিভারিতেই সচিনকে আউট করি। আমি অধিনায়ককে বলি আমার প্রথম থেকেই এ ধরনের বোলিং করা উচিত ছিল। শেষপর্যন্ত আমরা ম্যাচটা হেরে যাই।
ওই ম্যাচে আখতার ৭২ রান দিয়েছিলেন এবং একমাত্র সচিনের উইকেট পেয়েছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে ম্যাচ ভারতের দিকে ঢলে পড়েছিল।
আখতার বলেছেন, এটা আমার কাছে একটা তিক্ত অভিজ্ঞতা। কারণ, আমরা ভারতকে হারাতে পারতাম। ১৯৯৯ ও ২০০৩- দুবারই হারাতে পারিনি। আমি এখনও সেই হারের জন্য আফসোস করি। যদি আমরা আরও কিছু রান করতে পারতাম ও বোলিং ভালো করতাম, তাহতে জিততে পারতাম। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আমার ফিটনেসও একটা বাধা হয়ে দাঁড়ায়। সেই সঙ্গে দুর্বল অধিনায়কত্বের খেসারত হিসেবে হার স্বীকার করতে হয়েছিল আমাদের।
বিশ্বকাপে ভারত ও পাকিস্তান সাতবার মুখোমুখি হয়েছে। কিন্তু প্রত্যেকবারই জয়ী হয়েছে ভারত।
২০০৩-এর বিশ্বকাপে ভারতের কাছে হার নিয়ে ‘ গোপন বিষয়’ ফাঁস করলেন শোয়েব আখতার
ওয়েব ডেস্ক, এবিপি আনন্দ
Updated at:
06 Aug 2019 05:42 PM (IST)
২০০৩-র বিশ্বকাপের ম্যাচে ভারতের কাছে পর্যুদস্ত হয়েছিল পাকিস্তান। সেই পরাজয়ের একটা ‘দুঃখজনক গোপন বিষয়’ ফাঁস করলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন পেসার শোয়েব আখতার। ২০০৩-র ১ মার্চ সেঞ্চুরিয়নে গ্রুপ পর্বের ওই ম্যাচে ভারতের কাছে ছয় উইকেটে হেরে গিয়েছিল পাকিস্তান। ২৭৪ রান তাড়া করতে নেমে সচিন তেন্ডুলকরের দুরন্ত ৯৪ রানের ইনিংসে ভর পরে চার ওভারের বেশি বাকি থাকতেই ভারত জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
NEXT
PREV
খেলা (sports) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেইলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -