লখিন্দার বলেছেন, একটা শতরান পেলে ওর আত্মবিশ্বাস জোরদার হোত। এত দারুণ ব্যাট করছিল, আচমকা কেন শরীর থেকে বাইরের বল খেলে বসল, বুঝলাম না। এই টেস্ট সিরিজে যে ৬টা ইনিংস খেলেছে, সবগুলিতেই ওঁকে ক্রিজে স্বচ্ছন্দ দেখাচ্ছিল। কিন্তু আমার কাছে উদ্বেগের কারণ ওর আউট হওয়ার ধরন। অফ স্ট্য়াম্পের অনেক বাইরের বল তাড়া করে ও আউট হচ্ছে। আমি নিশ্চিত, অন্য দলগুলির এটা নজরে পড়েছে। আশা করি, ও ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আর তার পুনরাবৃত্তি করবে না।
একই ভাবে আরেক নায়ক ওয়াশিংটন সুন্দরের বাবা এম সুন্দরেরও আশা ছিল, ছেলে সেঞ্চুরি করবে। কিন্তু সেটা না হওয়ায় কষ্টে আছেন তিনিও। ভারতকে প্রথম ইনিংসে ১৮৬ রানে ৬ উইকেট থেকে অনেক দূর টেনে নিয়ে যান শার্দুল ঠাকুর আর ওয়াশিংটন। ১২৩ রানের লম্বা পার্টনারশিপ হয় তাঁদের। রীতিমতো প্রতিষ্ঠিত, স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের মতোই পরিণত বোধের পরিচয় দেন দুজনে। ওয়াশিংটন আউট হন ৬২ রানে। জীবনের প্রথম টেস্ট ইনিংসেই প্রয়োজনের সময় চওড়া হয়ে ওঠে তাঁর ব্যাট, অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বসেরা বোলিং আক্রমণের সামনে। এম সুন্দরকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা বলেছে, ওর ১০০ না হওয়ায় আমি হতাশ। সিরাজ আসার পর ওর উচিত ছিল চার-ছক্কা হাঁকানো। ওর সেই ক্ষমতা আছে। বড় শট খেলা উচিত ছিল। সম্ভবত,ওর ভাবনা ছিল অস্ট্রেলিয়ার মোট রানের কাছাকাছি যাওয়া কেননা লিড ছিল খুব কম। অস্ট্রেলিয়ায় ফোন করে রোজই ওর সঙ্গে কথা বলি। ওকে গতকাল বিকালে বলি, সুযোগ পেলেই বড় রান করবি। ও বলেছে, অবশ্য়ই করব। ওয়াশিংটন আদতে ওপেনিং ব্যাটসম্যান, নতুন বলে প্রচুর রান করেছে। চেন্নাই লিগে প্রথম ডিভিশনে ও-ই সর্বকনিষ্ঠ শতরান করা ক্রিকেটার। মাত্র ১৪ বছরেই একবার ইনিংস ওপেন করে শতরান পেয়েছিল ও।
২ বাবার এমন আক্ষেপ শুনে দারুণ প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার বীরেন্দ্র সহবাগ। ইনস্টাগ্রামে তিনি বলেছেন, এ হল একেবারে নিখাদ ভারতীয় বাবাদের মানসিকতা। আখির মা বাপ তো মা বাপ হি হ্যায়!