মুম্বই:         নাম- যুবরাজ সিং

                 জন্ম- ১২ ডিসেম্বর, ১৯৮১, চন্ডীগড়
                 বয়স- ৩৭ বছর
                 ব্যাটিং স্টাইল- বাঁহাতি
                 ম্যান অফ দ্য ম্যাচ-  একদিনের ম্যাচে ২৭, বিশ্বকাপে ৫, টি ২০ তে ৭ এবং আইপিএলে ৫
                কেরিয়ার-  টেস্ট (২০০৩-২০১২), একদিনের ক্রিকেট (২০০০-২০১৭), বিশ্বকাপ (২০০৩-২০১১) আইপিএল (২০০৮-২০১৯)

ভারতীয় ক্রিকেট দলের তারকা ক্রিকেটার যুবরাজ সিংহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন। দক্ষিণ মুম্বইয়ের একটি হোটেলে সাংবাদিক বৈঠকে অবসরের ঘোষণা করলেন তিনি।
ভারতীয় দলের জন্য যুবরাজ যা করেছেন, সেই কৃতিত্ব খুব বেশি ক্রিকেটারের নেই। ক্রিকেটের তিন বিভাগেই দক্ষতা, ছটফটে, তরতাজা মনোভাবের মাধ্যমে নিজের দিকে সবার নজর কেড়ে নিয়েছেন তিনি। ভারতের প্রাক্তন খেলোয়াড় যোগরাজ সিংহর থেলে যুবরাজ শুরুর দিকে ছিলেন একজন প্রতিভাধর ব্যাটসম্যান। উচ্চমাণের ব্যাটিং টেকনিকের সঙ্গে শক্তির মিশেল তাঁকে ভারতীয় দলে জায়গা করে দিয়েছিল। ২০০০ সালে অনূর্দ্ধ ১৯ বিশ্বকাপে ভারত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর যুবরাজকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। তাঁর প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায় আইসিসি-র নকআউট ট্রফিতে। ওই ট্রফির জন্য ভারতীয় দলে নেওয়া হয়েছিল যুবরাজকে। কেরিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেই ম্যাকগ্রা ও ব্রেট লি সম্বৃদ্ধ অস্ট্রেলিয়ার বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ৮৪ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে ক্রিকেটের বড় মঞ্চে নিজের আগমনবার্তা ঘোষণা করেন তিনি।
২০০২-এ ন্যাটওয়েস্ট সিরিজের ওই ফাইনালের কথা ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা কখনও ভুলতে পারবেন না। মহম্মদ কাইফের সঙ্গে জুটি বেঁধে লর্ডসের গ্যালারিতে অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে জামা খুলে ট্রফি জয়ের উচ্ছ্বাস প্রকাশের সুযোগ করে দিয়েছিলেন। যুবরাজের ওই ইনিংসে রাহুল দ্রাবিড় ও মহেন্দ্র সিংহ ধোনির মিশেল ছিল। যদিও টেস্ট ক্রিকেটে সেভাবে সাফল্য পাননি যুবি। কিন্তু টেস্টে যে সুযোগ পেয়েছেন, সেখানে নিজেকে প্রমাণ করতে পেরেছিলেন তিনি।
২০০৭-র টি ২০ বিশ্বকাপে যুবরাজের দুরন্ত ব্যাটিং ভারতীয় সমর্থকদের কাছে প্রায় লোকগাথায় পরিণত হয়েছে। স্টুয়ার্ট ব্রডের একটি ওভারে ছয়টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনি। ২০১১-র ভারতীয় দলকে চ্যাম্পিয়ন করার ক্ষেত্রে বিশ্বকাপে ব্যাটিং, ফিল্ডিং ও বোলিংয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু বিশ্বকাপের পরই ক্যানসার ধরে পড়ে তাঁর। এ জন্য বেশ কয়েক মাস ক্রিকেট থেকে দূরে থাকতে হয় তাঁকে। ২০১২-র টি ২০ বিশ্বকাপে প্রত্যাবর্তন ঘটে তাঁর। এরপর কখনও দলে জায়গা পেয়েছেন, কখনও পাননি। ২০১৪-র টি ২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তাঁর পারফরম্যান্সের কারণে দল থেকে বাদ পড়েন তিনি।
আইপিএলেও সেভাবে সাফল্য পাননি তিনি। ২০১৬-১৭ তে ঘরোয়া ম্যাচে তাঁর পারফরম্যান্স নির্বাচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে সিরিজে দলে জায়গা পান তিনি। দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে ধোনির সঙ্গে জুটি বেঁধে দুরন্ত ইনিংস খেলেন যুবরাজ। কঠিন পরিস্থিতিতে নেমে দলের ত্রাতার ভূমিকা নেন তিনি। এরপর জাতীয় দলে নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করেন যুবি। কিন্তু সাফল্য আসেনি। এরইমধ্যে উঠে আসেন তরুণ ক্রিকেটাররা।