কলকাতা: সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি ট্রফির (Syed Mushtaq Ali T20) কোয়ার্টার ফাইনালে মঙ্গলবার বাংলার সামনে হিমাচলপ্রদেশ (Bengal vs Himachal Pradesh)। যে ম্যাচে তিন স্পিনার দিয়ে বাজিমাত করতে চাইছে বাংলা। সেই সঙ্গে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে নবাগত পেসার রবি কুমারকে ব্যবহারের ভাবনা রয়েছে বাংলা শিবিরের।
ম্যাচটি হবে সল্ট লেকে, টোয়েন্টি টু ইয়ার্ডস ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মাঠে। অনেকে মনে করছেন, ইডেন বা কল্যাণীর মতো বড় মাঠে ম্যাচ না হওয়ায় প্রচুর রান উঠবে। অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে বোলারদের। যদিও বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল তা নিয়ে ভাবতে নারাজ। সোমবার প্র্যাক্টিসের শেষে লক্ষ্মীরতন বলছিলেন, 'ছোট মাঠ নিয়ে ভেবে লাভ নেই। ছোট মাঠ বড় মাঠ বলে কিছু হয় না। লখনউয়ে আমরা যেখানে গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলি খেলেছি, সেখানে আরও ছোট মাঠ ছিল। ছোট মাঠ বলে বেশি রান করা সহজ নয়।' লক্ষ্মী যোগ করেন, 'তাছাড়া আমরা যে মাঠে খেলব, হিমাচল প্রদেশকেও সেই মাঠেই খেলতে হবে। ফলে দুই দলের সামনে পরিস্থিতি একই থাকবে।'
বাংলা শিবির সূত্রে খবর, রণজ্যোৎ সিংহ খইরা ফিরতে পারেন প্রথম একাদশে। তিনিই হয়তো ওপেন করবেন। সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপাবে বাংলা। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে এলিট গ্রুপ ই-র শীর্ষে ছিল বাংলা। যে কারণে সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন অভিমন্যু ঈশ্বরণরা। ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলার প্রথম ম্যাচ আবহাওয়ার জন্য ভেস্তে গেলেও তারপর টানা চার ম্যাচ জিতেছিল বাংলা। তবে গ্রুপের শেষ ম্যাচ চণ্ডীগড়ের কাছে পরাস্ত হতে হয়েছিল।
তবে কোচ লক্ষ্মীরতনের মতে, সেই হার থেকে শিক্ষা নেবেন ছেলেরা। বলছেন, 'কোনও ম্যাচ সহজ নয়। কোনও প্রতিপক্ষই সহজ নয়। আমরা বরাবরের মতো ভাল ক্রিকেট খেলায় জোর দিচ্ছি। মাঠে নিজেদের সেরাটা দেব। তারপর দেখা যাক কী হয়। আমাদের দল গুছিয়ে নিয়েছি। প্রত্যেক ক্রিকেটার একে অপরকে সাহায্য করে। সকলেই খোশমেজাজে রয়েছে।'
পিচ কেমন দেখলেন? লক্ষ্মীরতন বলছেন, 'পিচ দেখে ভালই মনে হচ্ছে। মাঠে নেমে নিজেদের পরিকল্পনাগুলো কাজে লাগাতে হবে।'
হিমাচল প্রদেশও এলিট গ্রুপ ডি-র শীর্ষে থেকে শেষ করেছিল। তাদেরও প্রথম ম্যাচ ভেস্তে যায় বৃষ্টিতে। তবে পরের চার ম্যাচে টানা জয় পায়।
আরও পড়ুন: হোটেলে রুমে ঢুকে ভিডিও আগন্তুকের! ক্ষোভে ফুঁসছেন কোহলি