করাচি: আইপিএলের (IPL) সেরা বোলিং ফিগার এখনও তাঁর দখলে। আইপিএলের উদ্বোধনী মঞ্চেই কীর্তির শিখর ছুঁয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেন সেই পাকিস্তানি পেসার সোহেল তনবীর (Sohail Tanveer)।
প্রথমবার আইপিএলের আসরে সকলের নজর কেড়ে নিয়েছিলেন বাঁহাতি পাক পেসার। বল হাতে তিনি রাজস্থান রয়্যালসের খেতাব জয়ে বড় অবদান রেখেছিলেন। ২০০৮ সালের ওই আসরে ১১ ম্যাচে মোট ২২টি উইকেট নিয়েছিলেন পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার। পেয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সর্বাধিক উইকেট শিকারির সম্মান। তবে তনবীর সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছিলেন চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে লিগ পর্বের প্রথম ম্যাচে। মাত্র ১৪ রানের বিনিময়ে তুলে নিয়েছিলেন ৬টি উইকেট। তাঁর সেই বিধ্বংসী বোলিং পারফরম্যান্স আজও আইপিএলের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স।
মুম্বইয়ের জঙ্গি হামলার পর থেকেই আইপিএলে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা ব্রাত্য। তাই তনবীরকে পরের দিকে আর আইপিএলে দেখা যায়নি। কিন্তু আইপিএলের প্রথম বছর তিনি ছিলেন শো স্টপার। অনেকে তাঁর পারফরম্যান্স দেখে চমকে উঠেছিলেন। সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছিলেন বাঁহাতি পেসার সোহেল তনবীর (Sohail Tanveer)। তাঁর বোলিং অ্যাকশন ঠিক গতানুগতিক নয়, আর ঠিক সেই কারণেই ব্যাটসম্যানদের চমকে দেওয়ার ব্যাপারে পারদর্শী ছিলেন তিনি।
আইপিএলের প্রথম সংস্করণে চমকে দিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। গোটা দলকে ঐক্যবদ্ধ করে অসাধারণ অধিনায়কত্ব করেছিলেন শেন ওয়ার্ন। চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচে জ্বলে উঠেছিলেন তনবীর। জয়পুরে আয়োজিত সেই ম্যাচের শুরু থেকেই দাপটের সঙ্গে বোলিং করছিলেন তনবীর। প্রথম স্পেলেই চেন্নাইয়ের টপ অর্ডারকে ধাক্কা দেন তিনি। তাঁর ইনসুইংয়ের জোরে একে একে প্যাভিলিয়নের পথ দেখেন ম্যাথু হেডেন, পার্থিব পটেল আর বিদ্যুৎ শিবরামকৃষ্ণন। দ্বিতীয় স্পেলে ১৭তম ওভারে তনবীর যখন ফিরে আসেন, তখনও তাঁর একই রকম দাপট। এর পর তিনি অ্যালবি মর্কেল, মুথাইয়া মুরলীধরন ও মাখায়া এনতিনির উইকেট তুলে নেন। মাত্র ১০৯ রানে শেষ হয়ে যায় চেন্নাই। চার ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৪ রান দিয়ে ৬ উইকেট তুলে নেন তনবীর।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অবশ্য নজরকাড়া কিছু করেননি। পাকিস্তানের হয়ে ২টি টেস্টে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন। ৬২ ওয়ান ডে খেলে নিয়েছিলেন ৭১ উইকেট। ৫৭ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নিয়েছিলেন ৫৪ শিকার।