নয়াদিল্লি: দিল্লির ছেলে শিখর ধবন। তাঁর স্বীকার করতে কোনও কুন্ঠাই নেই যে, দিল্লিতে বাতাসের গুণমান খুবই খারাপ। তবে পেশাদার ক্রিকেটারদের কাছে দায়িত্ব পালনে এটা কোনও প্রতিবন্ধকতা নেই বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় দলের ওপেনার।

দিল্লিতে আন্তর্জাতিক ম্যাচের আয়োজন নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের অভিযোগ। সফরকারী দলের খেলোয়াড়দের দাবি, ধোঁয়াশার জন্য তাঁদের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। চলতি সিরিজের তৃতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিনের মতো চতুর্থ দিনও শ্রীলঙ্কার কয়েকজন ক্রিকেটারকে মুখোশ পরে মাঠে নামতে দেখা যায়।

চতুর্থ দিনের খেলার শেষে ধবন খোলাখুলি বলেছেন, দিল্লিতে যে দূষণের সমস্যা রয়েছে, তা লুকোতে পারি না। কিন্তু কোনও কাজের দায়িত্ব দেওয়া হলে তা তো পালন করতেই হবে।

এই বাঁহাতি ওপেনার বলেছেন,  ভারতীয় দলেও এমন অনেক খেলোয়াড় রয়েছেন, যাঁরা অন্য রাজ্য থেকে এসেছেন। তাঁরাও এখানকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিয়েই খেলছেন।

এদিন শ্রীলঙ্কা পেসার লাকমলকে মাঠে বমি করতে দেখা যায়।

শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের দাবির প্রতি তিনি সহানুভূতিশীল কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে ধবন বলেছেন, ভারতের দলেও এমন অনেক ক্রিকেটার রয়েছে, যারা দিল্লির এই দূষণ সংক্রান্ত সমস্যার সঙ্গে অভ্যস্ত নয়। কারণ, ওরা অন্য রাজ্য থেকে এসেছে। আসলে কোনও কাজের দায়িত্ব পেলে কেউ তা মাঝপথে ছেড়ে যেতে পারে না। ওদের ক্ষেত্রেও ওই একই কথা প্রযোজ্য।

আর অশ্বিন, মুরলী বিজয় ও আজিঙ্কা রাহানের মতো ক্রিকেটাররা সারা বছর দিল্লিতে প্রচুর ম্যাচ খেলেছেন। তাই তাঁদের পক্ষে দিল্লির পরিবেশের পক্ষে মানিয়ে নেওয়াটা সহজ হতে পারে বলে ধবনকে মনে করিয়ে দেওয়া হলে তিনি বলেছেন, বছরের অন্য কোনও সময় এখানে খেললে দূষণ সমস্যা এখনকার মতো বেশি থাকে না।

তিনি বলেছেন, শীতে দিল্লিতে ধোঁয়াশা হয়। একথা ঠিকই। কিন্তু পরিস্থিতি যাই-ই হোক না কেন, তার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। দেশের হয়ে খেললে নিজের দায়িত্বটা তো পালন করতেই হয়।

ধবন একই সঙ্গে বলেছেন, শ্রীলঙ্কার যে ক্রিকেটাররা সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা থেকে এসেছেন, তাঁদের হয়ত কিছুটা সমস্যা হতে পারে। হতে পারে শ্রীলঙ্কা সমুদ্র দিয়ে ঘেরা বলে সেখানে দূষণ কম। কিন্তু ওদের তো নিজেদের কাজটা করতে হবে। আর সেই কাজটা হল-ক্রিকেট খেলা।