নয়াদিল্লি: ধর্ষণে অভিযুক্ত অলিম্পিয়ান টেবিল টেনিস খেলোয়াড় সৌম্যজিৎ ঘোষকে সাময়িকভাবে সাসপেন্ড করল সর্বভারতীয় টেবিল টেনিস ফেডারেশন(টিটিএফআই)। এদিন টিটিএফআইয়ের কার্যকরী বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যতদিন তদন্ত চলবে, ততদিন সাসপেন্ড থাকবেন সৌম্যজিৎ। সাসপেনসনের ফলে আসন্ন কমনওয়েলথ গেমসে খেলতে পারবেন না সৌম্যজিৎ। এমনকী, কোনও জাতীয় বা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টেও অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। সৌম্যজিতের জায়গায় কমনওয়েলথ গেমসের দলে ঢুকলেন শানিল শেঠি।
দুবারের অলিম্পিয়ান সৌম্যজিতের বিরুদ্ধে গতকালই ধর্ষণের অভিযোগ আনেন এক তরুণী। শুধু ধর্ষণই নয়, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস এমনকি গর্ভপাতের অভিযোগও রয়েছে সৌম্যজিতের বিরুদ্ধে। বুধবার বারাসত মহিলা থানায় এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পকসো আইনে মামলা রুজু হয় সৌম্যজিতের বিরুদ্ধে।
ঠিক কী বলেছেন অভিযোগকারিণী? তরুণী বলেছেন, প্রথমে বিয়ের নামে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক করে সৌম্যজিৎ। সেই কথা পরিবারকে জানাতে নিষেধ করে। পরে রাজি হয় বিয়ে করতে। তরুণীর অভিযোগ, এরপরও তিন বছর ধরে শারীরিক, মানসিক, আর্থিকভাবে নির্যাতন চলে তাঁর ওপর। তিনি বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি সৌম্যজিৎ জানায় আমাকে বিবাহ করবে। আমার মায়ের অ্যাকাউন্টে ব্ল্যাকমানি রাখতে চায় সৌম্যজিতের পরিবার। আমার পরিবার সম্মতি দেয়নি।
তাঁর আরও অভিযোগ, সৌম্যজিতের সঙ্গে বিভিন্ন মহিলাদের পরিচয় বাড়ে। একাধিক মহিলাদের সঙ্গে একরাতের সম্পর্ক তৈরি করে সৌম্যজিৎ। এমনকী, সহযোগী খেলোয়াড়দের সঙ্গেও শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে সৌম্যজিৎ। অভিযোগকারিণী আরও বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি আমার পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়। সম্পর্ক ছেদ করতে হুমকি দেওয়া হয়। তরুণীর দাবি, সৌম্যজিতের পাশে রয়েছে তৃণমূলের নেতারাও। তিনি বলেন, আমার মা সৌম্যজিতের পরিবারকে জমিও দেয়। ২ লক্ষ টাকা ধারও দেওয়া হয় সৌম্যজিতের পরিবারকে। জার্মানি নিয়ে যেতে চাইত লিভ-ইন করার জন্য। আমার বাবা-মা নিষেধ করেন। বৃহস্পতিবার এই মামলায় গোপন জবানবন্দি দেন অভিযোগকারিনী।
সৌম্যজিতের পরিবারের পাল্টা অভিযোগ, তরুণীর পরিবার বারবার করে টাকা চেয়ে তাঁদের কাছে চাপ দিত।