কমেন্টেটর বলছে হি ইজ ডাউন অ্যান্ড আউট ফর দ্য কাউন্ট । সিনেমার ভিলেন কাউন্টডাউন দিতে শুরু করেছে ১০,৯,৮, ৭.... রকেটের মত ছুটে আসা শোয়েব আখতারের বলটা পাঁজরে লেগে এক ধাক্কায় ব্যাটসম্যানকে ফেলে দিয়েছে । চোট দেখে মনে হচ্ছেনা ব্যাটসম্যান আর খেলতে পারবে । ছবিতেও হিরোর দু' চোখ রক্তে ভিজে গেছে।  কাউন্ট ডাউনের আওয়াজ আরো জোরে শোনা যাচ্ছে ৬,৫,৪,৩ ......

বলছি, কমেন্টেটর আর ভিলেনরা যদি গল্পটা লিখেই দিতে পারতো তাহলে এই জন্মদিনগুলো গোটা দেশ সেলিব্রেট করতো না।

ব্যাটসম্যান, হিরো দুজনেই উঠে দাঁড়াল । হারি- জিতি দেখা যাবে , যতবার পড়ব তার একবার বেশি উঠে দাঁড়াব ।

সিনেমায় প্রায় মরে যাওয়া একটা মহল্লা হিরোর সঙ্গেই ঘুরে দাঁড়াল। আর ব্যাটসম্যান ফিরে এসে যখন কভার ড্রাইভটা মারল , মনের লড়াইয়ে সেদিন থেকে পাকিস্তান পিছিয়ে যেতে শুরু করেছে। সিনেমার হিরোকে ওরা বলত ও আবার বক্সিং জানে নাকি ।  ব্যাটসম্যানকে ওদের বোলাররা বলত শর্ট বল খেলতে জানেনা , পাঁজর ভেঙে দে ।

ওদের বুঝতে ভুল হল চোখ ফেটে রক্ত বেরোলেও খেলা যায় । পাঁজর টা প্রায় ভেঙে গেলেও ফিরে এসে কভার ড্রাইভ মারা যায় ।

ওই যে বললাম হারি জিতি দেখা যাবে । যতবার পড়ব তার একবার বেশি উঠে দাঁড়াব ।

কখনও ইংল্যান্ডের রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে কখনও ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়ে একাই ট্রেনিং করতে করতে দাদাকে অনেকবার বলতে শুনেছি ১০ এ ৮ বার তুই হেরে যাবি যদি মনে মনে হেরে যাস।

লর্ডসের সেঞ্চুরি, ইডেনে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ, ব্রিসবেনের হান্ড্রেড না। ইউটিউবে বারবার ক্লিক করবো , নোটবইতে বারবার লিখে রাখবো ৯৯ এ মোহালির ওই ম্যাচটার কথা।

৯০ বলে ৫৭ রানের স্কোর কার্ডটা দেখে নিজের মনে মনে বলবো স্কোরটা ভুলে যাও । পাঁজর টা ভিতর থেকে প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ফিরে এসে একটা কভার ড্রাইভ মারা যায় ।

সমস্যা ছাড়া জীবন আবার জীবন নাকি। ৮ জুলাই সৌরভের জন্মদিনে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আরো একবার বলে নেব -- হারি - জিতি দেখা যাবে , যতবার পড়ব তার একবার বেশি উঠে দাঁড়াব ।