কলকাতা: সাধারণত বাড়িতেই থাকেন, বেশি বের হন না কোথাও। তাও জ্বর, সর্দি, কাশির জেরে অস্বস্তি বোধ করলে তাঁকে উডল্যান্ডস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ে (Sourav Ganguly) মা নিরূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে (Nirupa Ganguly)। সেখানেই রিপোর্ট ধরা পড়েন তিনি করোনা আক্রান্ত।


স্বাভাবিকভাবেই চাপে ছিল গোটা গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার। তবে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) রাতের রিপোর্ট স্বস্তিই দেবে সৌরভদের। রিপোর্ট অনুযায়ী আপাতত স্বাভাবিকই আছেন নিরূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তার অক্সিজেনের মাত্রা ৯৭-৯৮ শতাংশ। তাকে এক লিটার অক্সিজেনও দেওয়া হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। রাতের খাবার খেয়ে আপাতত তিনি ঘুম দিয়েছেন।


দ্বিতীয়বার করোনার কবলে নিরূপা গঙ্গোপাধ্যায়


এর আগেও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন সৌরভের মা। দুইটি করোনা টিকা থাকা সত্ত্বেও গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে করোনার কবলে পড়েছিলেন তিনি। সেবারও মৃদু উপসর্গ থাকায় তাকে জেনারেল ওয়ার্ডে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসক সপ্তর্ষি বসুর (Dr Saptarshi Basu) অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। এবারও তিনিই নিরূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন। 


নিরূপা গঙ্গোপাধ্য়ায়ের দুই ছেলে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও তার দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ও এর আগে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। সৌরভও ভর্তি ছিলেন একই হাসপাতালে। তবে সৌরভ ও স্নেহাশিস, উভয়ই বাইরে নিয়মিত না না কাজে যাতায়াত করে থাকেন। সেখানে বাড়িতে থেকেও বারবার করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের মা। অবশ্য তিনি একা নন, গোটা শহরতলি জেড়েই চতুর্থ ওয়েভে আবারও উর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ। 


ফের উর্ধ্বমুখী করোনার গ্রাফ


রাজ্যে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনার সংক্রমণ, একদিনে ৬জনের মৃত্যু। রিপোর্ট অনুযায়ী মঙ্গলবার রাজ্যে প্রায় ২ হাজার ২৪৩ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ছয় জনের। দৈনিক সংক্রমণে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা, দ্বিতীয় স্থানে কলকাতা। উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে আক্রান্ত ৪৪৬ জন, কলকাতায় ৪২৩ জন। এই গ্রাফ যে চিকিৎসকদের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য।


আরও পড়ুন: দেশে দৈনিক সংক্রমণ ১৫ হাজারের নিচে, কমল দৈনিক মৃত্যু সংখ্যা